সোজাকথা
ইউপি নির্বাচনের আগে দলগুলোর অবস্থা
মানুষের কোন কোন কাজ বাহ্যিকভাবে খুব রূঢ় মনে হলেও শেষ পর্যন্ত সেই কাজের ভাল ফল পাওয়া যায়। তখন আর কেউ খারাপ দিকটা মনে রাখেনা বরং সেই মানুষটার চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে প্রশংসাই করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের দুই দফার শাসনামলে ভাল কাজ যেমন হয়েছে তারচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমননীতির কারণে।বিশেষ করে বিএনপির ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করার পর নির্বাচনটি আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য স্বস্ত্বিদায়ক ছিলনা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সরাসরি সমর্থন না থাকলেও ভোট না দিতে পারার কষ্ট থেকে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের এমন কঠোর অবস্থানকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।
এক পর্যায়ে বিএনপির সহিংস আন্দোলনের কারণে জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এরপরের ঘটনাপ্রবাহ সবার জানা। বিএনপির টানা ৯২ দিনের অবরোধ কর্মসূচীকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার যখন যা প্রয়োজন তাই করেছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরী করাসহ নানান কর্মকান্ড করে তারা।কিন্তু এত কঠোরতা দেখিয়েও সরকারকে টলাতে পারেনি বিএনপি। উল্টো তারাই চাপের মুখে পড়ে কোনঠাসা হয়ে যায়। রাজপথে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপির ব্যর্থতা সরকারের অবস্থানকে মজবুত করতে থাকে।অবশেষে অস্তিত্ব সংকটে থাকা বিএনপি ঘর বাঁচাতেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।আর আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর নীতির সাফল্য এখানেই, তারা শেষপর্যন্ত বিএনপিকে তাদের আপোষহীন অবস্থান থেকে সরিয়ে নির্বাচনমুখী করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
বিএনপি রাজপথে যতই দুর্বল হোক না কেন, জনগণের একটি বড় অংশ সমর্থিত এই দলটিকে নির্বাচনে না নিতে পারলে আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক অবস্থানটি হুমকির মুখে পড়ে। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের বৈধতা রক্ষা করতেই বিএনপিকে নির্বাচনে প্রয়োজন আওয়ামী লীগের।কাগজে কলমে গণতান্ত্রিক দেশের বৈধতার লাইসেন্স সেক্ষেত্রে পেয়ে গেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সরকার এবারে ক্ষমতাসীন হবার পর দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের অনেক ধরণই পাল্টে দেবার পদেক্ষপ নিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপ হচ্ছে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।প্রথমবারের মতো গতবছর পৌরসভা নির্বাচন হয় রাজনৈতিক দলের ম্যান্ডেড নিয়ে।এক্ষেত্রে পক্ষে বিপক্ষে দুধরণের মতামতই আছে। মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করলেও বিএনপি এই প্রস্তাবটি লুফে নেয়। কারণ এর ফলে দীর্ঘদিন পরে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মাঠে নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরণের সাড়া জাগে। দীর্ঘদিন মামলা হামলা আর আত্মগোপনে থাকা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সুযোগ পায় জনসাধারণের কাছাকাছি যাবার আর সাধারণ মানুষের মনে এই নির্বাচন ব্যাপক সাড়া জাগায় কারণ তাদের চিরচেনা নৌকা ধানের শীষের লড়াই দীর্ঘদিন পরে উপভোগের সুযোগ পায় তারা।রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা আমজনতা যতই খুশী হোক না কেন দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য সেটা কখোনই ভাল ফল বয়ে আনবে না। এর প্রমাণও হাতেহাতেই পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রামে সংঘর্ষ, হানাহানি এবং খুন হবার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।বিশেষ করে তৃণমূল থেকে নেতা তৈরী হবার পথটি বাধাগ্রস্থ হয়েছে খুব বাজেভাবেই। কারণ কষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে যে অবস্থান তৈরী করার প্রক্রিয়া চলে আসছে সেটা দলীয় প্রতীক পাওয়ায় কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়ে যায়, ক্ষমতার ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। ফলে তৃণমূলে রাজনীতি বিকশিত হবার সুযোগটি নষ্ট হয়ে যায়।
এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ মোট ২১টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আগামী ২২ মার্চ দেশের ৩৫টি জেলার মোট ৭৩৯টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলে অবস্থান করলেও তারা মোট ৭৩৯টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। বিগত পৌর নির্বাচনের পর এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম দফার ৭৩৯টি ইউপি নির্বাচনে ৪৫০টিতেই প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। তারা শুধুমাত্র ২৮৯টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে। পৌরসভা নির্বাচনে চার শতাধিক মেয়র পদে মাত্র ৭৩ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে একটিতে জয় পেয়েছিল দলটি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হুসাইস মুহম্মদ এরশাদ বলেছিলেন, ‘পৌরসভায় প্রার্থী দেয়ার মতো লোক নেই, একটি মাত্র জয়, এটা আমার জন্য লজ্জার।’ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ নির্বাচনকে ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে দেখছেন তারা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ে সাড়া মেলেনি। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রথম দফায় যে ৩৫টি জেলায় নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে ২৪টি জেলাতে এখনও কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারেনি দলটি। ওই জেলার নেতারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে লিপ্ত। দলীয় এমপিরাও তাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। তাছাড়া যেসব রওশনপন্থী সাংসদ জেলা কমিটিতে আছেন, তাদের কোনো ভূমিকা নেই এই নির্বাচনে। বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে এখনও সন্দিহান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা বলছেন, তারা সরকারে না বিরোধী দলে এটা এখনও স্পষ্ট না হওয়ায় মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আলাদা সত্তা তৈরি হয়নি। ফলে এই নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মাঠে লড়াইয়ে তেমন একটা সুবিধা করতে পারবে না তারা।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছেন। বিএনপি প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করেই নিজেদের ইচ্ছেমতো কর্মসূচি চালাচ্ছেন অনেক এলাকার বিএনপির নেতারা। দলের গঠনতন্ত্রের বাইরে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী কার্য সম্পাদনেই ব্যস্ত তারা। দলের হাই কমান্ড নির্দেশিত নানা কর্মসূচিতে গ্রুপিং বিড়ম্বনায় সময় কাটছে তাদের। এর প্রভাব পড়ছে নির্বাচনেও। পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমদিকে রাজপথে কেন্দ্র মনোনিত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে এক কাতারে দেখা গেলেও শেষ অবধি ভোটের ফলাফলে মিলেছে ঐক্যহীনতার প্রমাণ। ঘটেছে ভরাডুবি। ৪ পৌরসভার সবকটিতেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিকে বিএনপির প্রায় সবকটি উপজেলা ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে রয়েছে একাধিক গ্রুপ। তাদের মধ্যে রয়েছে একের প্রতি অনেক বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক।
এদিকে প্রথম দফার ৭৩৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২২টি ইউনিয়নে বিএনপি কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে দলটির নেতারা সরকারি দলের ভয়ভীতি দেখানো ও প্রশাসনের হুমকির কথা বলছেন।
দলীয় কোন্দলের কারণেও বেশ কিছু ইউনিয়নে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে পারেনি স্থানীয় বিএনপি।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে একটি, শ্যামনগরে চারটি, দেবহাটা ও তালা উপজেলার একটি করে ইউনিয়নে বিএনপি কোনো প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে পারেনি।আর খুলনা জেলার নয়টি ইউনিয়নে দলের প্রার্থী নেই।এ ছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে পারেনি তৃণমূল। এর মধ্যে বাকেরগঞ্জ ছাড়া অন্য জায়গায় ভয়ভীতি দেখানোর কারণে প্রার্থী সুপারিশ করা যায়নি বলে জেলার নেতাদের দাবি।এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৬ নম্বর মাগুরাগোনা ও ৭ নম্বর শোভনা ইউনিয়নের জন্য যেসব প্রার্থীর সুপারিশ করেছিলেন উপজেলা নেতারা, তা পাল্টে অন্য প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠান জেলা নেতারা।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপে একটি ছাড়া সব কটিতেই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বিএনপি থেকে। ৭১৯টি ইউপিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে একটি দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল লেবার পার্টিকে। এতে নাখোশ হয়েছেন দলটির নেতারা। এ ছাড়া জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর কোনো তালিকা না দেওয়ায় তাদের কোনো ছাড় দিচ্ছে না বিএনপি। জোটের আরেক শরিক দল জাগপাকে দ্বিতীয় ধাপে একটি স্থানে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা।
দল নয় নিজেদের আখের গোছানোয় মহা ব্যস্ত এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতারা। এ কাজে অনেকটা বেপরোয়া নেতারা প্রয়োজনে দলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধাতেও দ্বিধা করছেন না। এতে তৃণমূলে সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মক ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, যোগ্য প্রার্থীর পরিবর্তে পছন্দের লোককে প্রত্যয়ন দেয়ায় বঞ্চিতরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরাই মূলত বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। বিএনপির চেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। কোনো কোনো ইউপিতে আওয়ামী লীগের ৩-৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। অন্যান্য দলেও কমবেশি বিদ্রোহী প্রার্থী আছে।
তৃণমূলের সুপারিশ উপেক্ষা, আর্থিক লেনদেন, এমপি-মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ, অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন দুই দলের নেতারা। তাদের মতে, অনৈতিক সুযোগে অনেক নিষ্ক্রিয় ও অযোগ্যরা মনোনয়ন পেয়ে গেছেন। বাদ পড়েছেন যোগ্য ও ত্যাগীরা। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা তৃণমূলের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য বড় দলগুলো নানা ধাপে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে। এই বাছাই প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের সমস্যার কারণে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যাশার চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন দুই দলের নীতিনির্ধারকরা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকা করে তাদের বাগে আনতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন উদ্যোগের পরও যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করবে প্রয়োজনে তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে।
কাজেই সবকিছু বিবেচনা করে একটি বিষয়ই বোঝা যাচ্ছে, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কারণে দেশের মধ্যে যে অস্থিতিশীলতা তৈরী হচ্ছে এর ভয়াবহতা এখন যত না বোঝা যাচ্ছে, সময়ই বলে দেবে এর পরিণতি কোন দিকে যাচ্ছে।
লেখক: সিনিয়র রিপোর্টার, এটিএন নিউজ।