ইতালিতে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
ইতালিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট সকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এরপর বেলা ১১টায় দূতাবাসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবনের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
বাণী পাঠের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বহু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা।
রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ যাঁরা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি প্রদানে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একইসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না।
রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশকে নিজের স্বপ্নের মতো করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাসের এ মহামানব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে ঘাটকচক্রের বুলেটের নিষ্ঠুর আঘাতে জাতি হারায় তাঁর পিতাকে, অভিভাবককে। আর থমকে যায় সোনার বাংলাদেশ গড়ার সব পদক্ষেপ। এখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে এবং খেলাধুলাসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এই আরাধ্য কাজে সব দেশপ্রেমিক জনগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাত বরণকারী সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।