কুয়ালালামপুরে দুটি ভবন লকডাউন, আটকা পড়েছেন বাংলাদেশিরা
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মালয়েশিয়ায় চলছে আবাসিক ভবন ও এলাকাভিত্তিক লকডাউনের কাজ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত অন্তত ছয়টি এলাকাকে রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রাণকেন্দ্র কুয়ালালামপুরের মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকার দুটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। সেখানে সেলাঙ্গর ম্যানশন ও মালায়ান ম্যানশনে ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই এ ঘোষণা দেওয়া হয়। কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবি কেএল) ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ভবন দুটিতে প্রবেশ ও বের হওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে গত ২ মার্চ একই এলাকার মুন্সী আবদুল্লাহ রোডের সিটি ওয়ান প্লাজা লকডাউন করা হয়।
কুয়ালালামপুরের ফেডারেল টেরিটরির মন্ত্রী তান সেরি আনোয়ার মুসা বলেছেন, মসজিদ ইন্ডিয়াতে অবস্থিত এ দুটি ভবনে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের অভিবাসী কর্মীরা বসবাস করেন।
এর মধ্যে মনির নামের এক বাংলাদেশি সিটি ওয়ান প্লাজার নিচতলায় একটি দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। সেখানেই সপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছেন মনির। এখন ওই ভবনে আটকা রয়েছেন তিনি।
মনির এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ পর্যন্ত ওই এলাকায় করোনাভাইরাসে ৩০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক পাকিস্তানি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো বাংলাদেশির আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সিটি ওয়ানে অন্তত ৫০০ জনের মতো বাংলাদেশি থাকে।
মনির বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আমরা রুম থেকে বের হতে পারি না। কিছু কিনতে হলে পুলিশকে ফোন করতে হয়। আমাদের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। লকডাউনের সময় আরো বাড়বে কি না জানি না। এই ভবনে বহু দেশের মানুষ বসবাস করে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এগিয়ে আসছে। আফসোস, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কেউ খোঁজ নেয়নি। খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এখনো কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।’
এদিকে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২২৮ জন।