খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বেলজিয়ামে প্রতিবাদ সভা
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বেলজিয়াম শাখার উদ্যোগে দেশটির রাজধানী ব্রাসেলস প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সভাপতি ও বেলজিয়ামে বসবাসরত সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ এবং আমরা জানি না তিনি আর কতদিন বাঁচবেন। তিনি দেশে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাকে এভাবে আটকে রাখা মেনে নেওয়া যায় না।’
সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘১৮০ মিলিয়ন মানুষের দেশের ৬০ শতাংশ বিএনপিকে সমর্থন করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খারাপ কিছু হলে আমি আশঙ্কা করি দেশে গুরুতর নাগরিক অস্থিরতা দেখা দেবে।’
খালেদা জিয়া কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার মাত্র পাঁচ মাস পরে ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ছিলেন। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর একটি আদালত তাকে উন্নত চিকিৎসার বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায়, বিএনপি কর্মী ও সমর্থকরা তাকে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে ব্রাসেলসের মতো জায়গায় বিক্ষোভ করছে।
রহমান বলেন, ‘এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইইউ সর্বদা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য ঢোল বাজিয়ে চলেছে। তাই আমরা এখন এই বিশেষ লঙ্ঘন সম্পর্কে কিছু করতে বলছি।’
বেলজিয়াম বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হুসাইন বাবু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী। স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে তার ভূমিকা সর্বজনবিদিত। আমাদের এই আপোষহীন নেত্রী কখনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বর্তমান সরকার জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য এবং রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এই ঘৃণ্য চক্রান্ত করে চলছে।’