বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির আহ্বান
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী সৌদি আরবের উত্তর সীমান্ত অঞ্চলের আর আর চেম্বার অব কমার্স। আরআর চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠককালে চেম্বার সভাপতি নওয়াফ মাজাল আল দাইদি একথা জানান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তাঁদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত চলতি মাসের ২৮-২৯ তারিখে বিডা কর্তৃক বাংলাদেশে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগদানের জন্য আরআরের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
এ সময় উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের আওতায় বিনিয়োগ করতে পারে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরআর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার বিস্তারিত তথ্যসহ তাঁদের প্রোফাইল আরআর চেম্বারের ব্যবসায়ীদের প্রদানের অনুরোধ জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত ও উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের ব্যবসায়ীদের বিস্তারিত তথ্য প্রদানের অনুরোধ করেন যাতে দুদেশের ব্যবসায়ীরা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। চেম্বার সভাপতি আরআর চেম্বারের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ও সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ উন্নত মানের কাপড় বোনার উল আমদানি করতে পারে বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান। এছাড়া বাংলাদেশের হস্তশিল্প, সিরামিক, তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্য ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।
সৌদি আরবের বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বিরোধী আইনের বিষয় তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি অভিবাসী ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা নিবন্ধন করতে চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তথ্য গোপন রাখা হবে এবং সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়াদ বিন বদর আল হুজাইমির সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত যে সব বাংলাদেশি গৃহকর্মী তাঁদের গৃহকর্তাদের বাসা থেকে পালিয়ে আসে তাঁদের পুনরায় গৃহকর্তাদের কাছে ফেরত না দিয়ে সেফহোমে আশ্রয় দিয়ে দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া পাসপোর্ট বা ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের যেন গ্রেপ্তার না করা হয় সে ব্যাপারে পুলিশ প্রধানকে অনুরোধ করেন। পুলিশ প্রধান এ সব বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস প্রদান করেন।
এর আগের দিন বিকেলে রাষ্ট্রদূত আরআর শহরে বসবাসরত স্থানীয় বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ সব সভায় দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।