বাংলাদেশ থেকে আবারও কর্মী নিচ্ছে মালয়েশিয়া, সমঝোতা স্মারক সই
দীর্ঘ তিন বছর পর বাংলাদেশ থেকে আবারও কর্মী নেওয়ার জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করেছে মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান আজ রোববার কুয়ালালামপুরে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন খাতে বহু বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হলো বলে আশা করছেন বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা।
তবে, এ সমঝোতার আওতায় কারা কাজের সুযোগ পাবেন, মালয়েশিয়া যেতে অভিবাসন ব্যয় বা খরচ কত হবে, কীভাবে কাদের ব্যবস্থাপনায় তাদের পাঠানো হবে, কী কী শর্ত থাকবে—সেসব বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আবারও শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
মালয়েশিয়া সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে স্থগিতাদেশ আরোপ করে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় দেশের আইন, বিধি, প্রবিধান, জাতীয় নীতি ও নির্দেশাবলীর আলোকে এ সমঝোতা স্মারকে কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদাকে অধিকতর সুরক্ষিত করা হয়েছে।
এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন—রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণের খরচ। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবে। ফলে আশা করা যায় কর্মীর অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া। দেশটিতে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকও রয়েছেন। করোনার কারণে শ্রমিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে গেলে শ্রমিকসংকটে পড়ে মালয়েশিয়া।