মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে শিগগিরই অনলাইনে আবেদনের ঘোষণা
নিয়োগকর্তারা শিগগিরই উৎস দেশ থেকে অনুমোদিত কর্মসংস্থানের প্রতিটি খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য অনলাইন আবেদন জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সারাভানান বলেছেন, খুব শিগগিরই অনলাইন আবেদনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এদিন মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এ খবর দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী সারাভানান বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে মধ্যস্থতাকারী বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যেন তারা কোনো অর্থ লেনদেন না করেন।’
মালয়েশিয়া গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশিদের জন্য তাদের শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ওই দিন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি এম সারাভানান এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃক্ষরোপণ, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, সেবা খাত, খনিজ উত্তোলন, নির্মাণ, গৃহকর্ম ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে।
এসব খাতের নিয়োগকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী আবেদন জমা দিতে বলেছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী সারাভানান।
মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা দেশটির মানবসম্পদ বিভাগের নিবন্ধিত বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেবেন।
বিদেশিকর্মীদের কোভিড-১৯ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সরকারের নীতিমালা মানতে হবে। ওই নীতিমালার চারটি ধাপ রয়েছে। ধাপগুলো হলো—পৌঁছানোর আগে, পৌঁছানোর সময়, পৌঁছানোর পর (কোয়ারেন্টিন) এবং কোয়ারেন্টিন পরবর্তী সময়। এই চার ধাপে কোভিড পরীক্ষা ও টিকার সনদসহ কিছু বিষয়ের নির্দেশনা মানতে হবে।
সবশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারভানান নিজ নিজ দেশের পক্ষে কুয়ালালামপুরে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।