মালয়েশিয়ায় লকডাউনে যেমন আছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ক্রমে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে মালয়েশিয়ায় চলছে লকডাউন। ঘোষিত লকডাউনের আজ ১৭তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
গত ১৮ থেকে ৩১ মার্চ বেঁধে দেওয়া এ আদেশ বাড়িয়ে তা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রাণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সর্বসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। বিনা কারণে ঘর থেকে বের হলেই করা হচ্ছে জেল-জরিমানা। এ অবস্থায় বাংলাদেশিসহ সব প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় সময় পার করছেন। এই লকডাউনে তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা শেয়ার করেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছি। করোনাভাইরাস কবলিত মালয়েশিয়ায় আমরা ভালো আছি। আমাদের ইউনিভার্সিটিতে প্রায় চারশ বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যাঁরা হোস্টেলে আছেন, তাঁদের জন্য ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে তিনবেলা ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা বাইরে আছেন, ইউনিভার্সিটি পক্ষ থেকে তাঁদেরও খোঁজ-খবর নিচ্ছে।’
কোটা-দামানসারা সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী জয়নাবা রাত্রী, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ক্যান্ডিডেট জেসমিন মোহাম্মাদ জেবারাল হক, মালয়েশিয়ার জিওমাটিকা ইউনিভার্সিটি কলেজের বিবিএপড়ুয়া সামছুন নাহার ইরা, আল মাদীনাহ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী মির্জা মুস্তাফিজুর রহমান, ইউনিভার্সিটি টেকনিক্যাল মালয়েশিয়ার ছাত্র এহসানুল হক খান শুভ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি মালয়শিয়ান পিএইচডি ক্যান্ডিডেট মোহাম্মাদ বুরহান উদ্দিন, ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার (ইউপিএম ) ইকোনমি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ফ্যাকাল্টির বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী অনিকা বরকতও করোনায় লকডাউনের জীবনযাপন সম্পর্কে জানিয়েছেন।
তাঁরা সবাই মালয়েশিয়ার এক ভয়াবহ চিত্রের কথাই জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় করোনায় গতকাল বৃহস্পতিবারও পাঁচজন মারা গেছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৮ জন। এ নিয়ে সর্বমোট মৃত্যু ৫০ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ১১৬ জন।