মালয়েশিয়ায় হোম কোয়ারেন্টিনে মাওলানা আজহারী
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের তোপের মুখে পুরো পৃথিবীই প্রায় লকডাউন। একমাত্র ঘরে থাকাই হতে পারে সমাধান। এ অবস্থায় স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনির্ভাসিটির পিএইচডি গবেষক ও জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। ঘরেই নামাজ আদায় করছেন। অন্যদেরও ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
পুরো দেশে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে লকডাউন করার ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান আজহারী। তিনি বলেন, জনগণ কথা শুনবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে পুরো দেশ লকডাউনে চলে গেলে দিন আনে দিন খায়, এমন খেটে খাওয়া মানুষদের জীবিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সমাজের বিত্তশালী লোকজন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সরকারকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান মিজানুর রহমান আজহারী।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে আজহারী জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে আটদিন ধরে স্বেচ্ছায় বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে একবারের জন্যও বাইরে বের হইনি। বর্তমান সময়ে এর চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না। তাই সবাইকে বলছি, প্লিজ, প্লিজ সবাই ঘরে থাকুন। এটাই এখন সবচেয়ে বড় মহৌষধ।’
মাওলানা আজহারী আরো বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করুন। সরকারের একার পক্ষে এ মহামারি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। সবার ঐকান্তিক সদিচ্ছা ও সহযোগিতা দরকার। জরুরি বাজারসদাই কিনে এনে যথাসম্ভব পরিবারের সদস্যসহ নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করুন। সামাজিক মেলামেশা, জনসমাগম পরিহার করুন। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও হাঁচি ও কাশি দেওয়ার শুদ্ধাচার মেনে চলুন। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে, ফিরে এসেই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এ নিয়মগুলো মেনে চলাই হচ্ছে এখন ফরজে আইন। এ ভাইরাসে বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাই তাঁদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন। সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হলো সেল্ফ আইসোলেশন। বিশেষ করে দেশেফেরা প্রবাসীদের বুঝিয়ে অথবা সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা।
জনপ্রিয় এই ইসলামী বক্তা বলেন, ‘কোয়ারেন্টিন মানে হচ্ছে সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকা এবং কারো সংস্পর্শে না আসা। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, দেশে এসে উনারা দিব্যি মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ কেউ শশুরবাড়ি বেড়াতে যাচ্ছেন এবং অনেকে বিয়ের দাওয়াতেও অংশ গ্রহণ করছেন।’