সাংবাদিকতায় বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত এনটিভির চিফ অব করেসপনডেন্টস আরিফুর রহমান
সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হলেন এনটিভির চিফ অব করেসপনডেন্টস আরিফুর রহমান। গত ১৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বিখ্যাত বাংলা ব্যান্ড ফ্রিডমএজ-এর আয়োজনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। তাঁর হাতে সম্মাননা তুলে দেন ফ্রিডমএজ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও লিড ভোকালিস্ট সামি নোবেল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যান্ডের বেস গিটারিস্ট লাকি ইসলাম ও অন্যান্য সদস্যসহ অতিথিরা।
দেড় দশক ধরে আরিফুর রহমান সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন ও সত্যকে উন্মোচন করার জন্য আরিফ বেছে নেন ক্রাইম রিপোর্টিং। বাংলাদেশে ক্রাইম রিপোর্টিংয়ের মতো বিপজ্জনক জায়গা, যেখানে পদে পদে রয়েছে বিপদের ঝুঁকি, সেখানে কাজ করে গেছেন নির্ভীকভাবে। তাঁর রিপোর্টিং বাংলাদেশে ক্রাইম রিপোর্টিংয়ে নতুন মাত্রা দিয়েছে। শুধু ঘটনার অনুসন্ধান করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, চেষ্টা করেছেন প্রতিটি অপরাধের গোড়ায় গিয়ে তা সমাধান ও প্রতিকারের ব্যবস্থার জন্য। মাঠপর্যায়ে রিপোর্টিংয়ের পাশাপাশি আরিফুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনায়ও সিদ্ধহস্ত। তাঁর সঞ্চালিত অনুষ্ঠান ‘নিউজ ইনসাইড’, ‘প্রবাস জীবন’, ‘কোভিড-১৯ করোনায় করণীয়’, ‘বীরশ্রেষ্ঠদের বিজয়গাঁথা’, ‘মায়ের ভাষা’, ‘মুক্তির আলোয় বাংলাদেশ’ যেমন পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা, ঠিক তেমনি সবার প্রশংসা।
সাহসী সাংবাদিক হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে আরিফুর রহমানের। আগামী দিনে আরও নির্ভীকভাবে সাংবাদিকতা করার লক্ষে তাঁকে সাংবাদিকতার বিশেষ এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো প্রাপ্তিই আনন্দের। পুরস্কার পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। আমি সাংবাদিকতা করি কোনো কিছু পাওয়ার আশা থেকে নয়, মানুষের জন্য কাজ করি। আমি মনে করি, এটিও একটি জনসেবামূলক কাজ। স্বীকৃতি পেলে কাজের গতি বাড়ে। সেটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। এ জন্য আমি ফ্রিডম এজের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে যেন আরও ভালো কিছু করতে পারি, দেশের মানুষের সঙ্গে সর্বশেষ এবং বিশেষ তথ্যগুলো শেয়ার করতে পারি, এই দোয়া চাই।’
আরিফুর রহমান এর আগেও সাংবাদিকতায় বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যেই তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত সফরে গিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার উল্লেখযোগ্য।
প্রবাসে কয়েকজন বাংলাদেশি প্রতিভাবান যন্ত্রশিল্পী ও সংগীতশিল্পীর সমন্বয়ে গঠিত ফ্রিডমএজ ব্যান্ড যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার মৌলিক সংস্কৃতিকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বৃহৎ পরিসরে দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরাই ফ্রিডমএজ ব্যান্ডের মূল লক্ষ। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ফ্রিডমএজ ব্যান্ডের মৌলিক গান ও পরিবেশনা প্রবাসী দর্শক-শ্রোতাদের কাছে সমাদৃত হয়ে আসছে।