সিডনিতে বৈশাখী উৎসবে মতোয়ারা আইইউবি’র সাবেক শিক্ষার্থীরা
দিনটি ছিল বৃষ্টিস্নাত। এমন দিনে বৈশাখী উৎসবে মেতে উঠেছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার শহর সিডনিতে।
উৎসবজুড়ে ছিল দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। অনুষ্ঠানে ছিল বাংলা গান ও নৃত্য। খাবারে ছিল পিঠা-পায়েসের আয়োজন। মেলায় ছিল রেশমি চুড়ির পসরা। প্রদর্শিত হয় ঐতিহ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা।
গত রোববার এ সব আয়োজন করে আইইউবির’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সামাজিক সংগঠন এক্স-আইইউবিয়ানস্ অস্ট্রেলিয়া।
নতুন প্রজন্মের আলিফ, আহনাফ ও নাফিরের সমবেত পবিত্র কোরআনের মর্মবাণী পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এরপর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের প্রতি জানানো হয় শ্রদ্ধা। পরে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ইলিয়াস চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএমএস-এর সহ সভাপতি ডা. মেহেদী ফারহান এবং বিএএফএ-র সভাপতি তাম্মী পারভেজ।
পরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠেন বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানে বাংলা সংস্কৃতিকে প্রবাসে তুলে ধরার প্রয়াস ছিল চোখে পড়ার মতো।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আসিফ ইকবাল। আবৃত্তি করেন শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি।
বৈশাখী নৃত্য পরিবেশন করেন ‘নতুন কুঁড়ি’খ্যাত শিল্পী সাদিয়া আরিফিন। গান পরিবেশন করেন সিডনির প্রথিতযশা শিল্পী লুৎফা খালেদ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় নতুন প্রজন্মের সোনামনি আলভিনা, আনায়া, আরিবা আর মাইশার দলীয় নৃত্য। এ ছাড়া জনপ্রিয় বাংলা গানের সম্ভার নিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে বাংলাদেশি শিল্পীদের ব্যান্ড ‘রঙ্গন’।
সাঈদ পারভেজ ও আরমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বৈশাখী ধাঁধা ও খেলা। এ ছাড়া শিশুদের জন্য আয়োজিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল ‘আমার চোখে বাংলাদেশ’।
বৈশাখী মেলার আদলে সাজানো হয় উৎসব প্রাঙ্গণ। এর নির্দেশনা দেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মৌসুমী ও তানভীর। সেখানে ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী যানবাহন রিকশা; ছিল মেহেদি ও রেশমি চুড়ির পসরা। তারেক ও নাইমুর আয়োজন করেন দেশীয় খাবার। খাবারের সে আয়োজনে ছিল দেশীয় ভর্তা-ভাজির পাশাপাশি পিঠা।
জানা যায়, এক্স আইইউবিয়ানস্ অস্ট্রেলিয়া সদস্যদের পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে। ফরহাদ ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পেশাগত সেশন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী আসা হাসান বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি পেশাগত জীবনেও আবদান রাখে।’