উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এই দিনে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এই ধরায় আগমন ঘটেছিল।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। এ উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক স্বপন রোজারিও জানান, রোববার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং সোমবার সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন নির্বিঘ্নে পালন করার লক্ষ্যে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার এডিসি মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতায় নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারেন, এ জন্য কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। উৎসবস্থলে ও আশপাশে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি থাকবে।
আজ বিভিন্ন গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
বড়দিন উপলক্ষে দেশের অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হয়েছে, বিশেষ খাবারেরও আয়োজন করা হয়েছে। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে।
বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত মেলার দোকানগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তা ক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশু-মরিয়ম-যোসেফের মূর্তিসহ নানা জিনিস বিক্রি হতে দেখা যায়।