জুমার দিনের ফজিলত
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলিম সমাজে সাত দিনের মধ্যে জুমাবার তথা শুক্রবারকে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। আর এই দিনে মুসলমানরা তাঁদের শত ব্যস্ততা ছেড়ে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজের সময় গরিব-ধনীর ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে শামিল হন এবং মসজিদে প্রবেশের পর সবার মর্যাদা সমান। কোনো ব্যক্তি নিজেকে মর্যাদাবান মনে করে অন্য কোনো ব্যক্তির জায়গায় বসা মোটেই সমীচীন নয়। এ ব্যাপারে সহিহ বুখারির প্রথম খণ্ডের ৫১২ নম্বর হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।
মসজিদের অভ্যন্তরে কাউকে তাঁর স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেই স্থানে নিজে বসা কোনো সময়ই উচিত নয়। বিশেষত, জুমার দিন। হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘নবী করিম (সা.) নিষেধ করেছেন, কেউ যেন তার মুসলমান ভাইকে তার স্থান হতে উঠাইয়া দিয়া নিজে সেই স্থানে না বসে। তা জুমার দিন হোক বা অন্য কোনো দিন এবং মসজিদে হোক বা অন্য কোনো স্থানে হোক।’
অপর এক হাদিসে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এই দিনের মধ্যে এমন একটি মূল্যবান সময় আছে, যে সময়টুকুর মধ্যে নামাজরত অবস্থায় যেকোনো দোয়া করা হোক, আল্লাহতায়ালা উহা কবুল করে থাকেন, অবশ্য এই সময়টুকু খুবই অল্প। বুখারি প্রথম খণ্ড (৫২৩)
কাজেই জুমার দিনের প্রতিটি মুহূর্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ অর্থবহ। তাই আমরা আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে আল্লাহর স্মরণ অন্তরে জাগরূক রাখি।
লেখক : শিক্ষার্থী