৮৫ আলেমকে পাগড়ি দিলেন হেফাজতের আমির
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কমলপুর দারুল উলুম মাদ্রাসায় খতমে বুখারি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
এর আগে আজ দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় প্রস্তাবিত ট্রমা হাসপাতাল মাঠে হেলিকপ্টারে করে আসেন বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি কমলপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার বোখারি শরিফের সমাপনী দরস ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে আল্লামা শফী ইসলাম নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য দেন। সেই সঙ্গে কওমি শিক্ষায় মাস্টার্স সমমান কোর্স সম্পন্ন করা ৮৫ জন আলেমকে পাগড়ি ও পুরস্কার তুলে দেন। পরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েক হাজার ভক্ত-অনুরাগী তাঁর মুরিদ হন।
জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহদাৎ হুসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন মাওলানা মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বীপী।
প্রধান আলোচক আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেন, বাংলাদেশের অনেক মুসলমান নাস্তিক, মুরতাদ হয়ে যাচ্ছে। কেউ যদি নাস্তিক, মুরদাত হয়ে যায়, তারা যেন আল্লাহকে অস্বীকার করল। আলেমরা সরকারের হিতাকাঙ্ক্ষী, নারীদের হিতাকাঙ্ক্ষী, সব মানুষের হিতাকাঙ্ক্ষী। মুরতাদদের ফাঁসি দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব পালন করলে আল্লাহর কাছে সরকারকে আসামি হতে হবে না। নয়তো হাশরের দিন আল্লাহর কাছে আসামি হতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ রফিকুল ইসলাম, হাজি গোলাপ মিয়া খন্দকারসহ হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা।