বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা আজ
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আজ মঙ্গলবার তাঁদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান ধর্মীয় উৎসব আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করবেন।
বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দেশব্যাপী দিবসটি পালন করে থাকেন।
এই দিনে ঐশ্বর্যশালী রাজকুমার সিদ্ধার্থ মাত্র ২৯ বছর বয়সে তাঁর রাজত্ব এবং স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করে শাশ্বত সত্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। সিদ্ধার্থ গৌতম পরম জ্ঞান লাভ করে বেনারসে তাঁর শিষ্যদের মধ্যে প্রথম ধর্মোপদেশ দান করেন।
এরপর যুগ যুগ ধরে বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করে আসছেন।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সব মঠে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সব মঠে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন এবং ত্রিপিটক পাঠ করা হবে।
এ ছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ভিক্ষুদের উপবাস ভঙ্গ, আলোচনা সভা, ভক্তদের প্রার্থনা সভা, রক্তদান, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে ধর্মীয় বক্তৃতা ও ধ্যানপর্ব।
চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধান প্রধান আচার-অনুষ্ঠান হবে নন্দকানন বৌদ্ধ মঠ, কাটালগঞ্জ নবপণ্ডিত বিহার, পূর্ণাচর আন্তর্জাতিক বৌদ্ধমন্দির, মোগলটুলি শাক্যমুণি মহাশ্মশান কমপ্লেক্স ও মোমিন রোডের সর্বজনীন বৌদ্ধবিহারে।
নন্দকানন বৌদ্ধমঠে মূল প্রার্থনা সভা পরিচালনা করবেন পুজ্য ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো এবং ধ্যানপর্বের নেতৃত্ব দেবেন মোগলটুলি শাক্যমুণি মহাশ্মশান কমপ্লেক্সের পরিচালক পুজ্য তিলকাবংশা থেরো। এ সময় দেশের ও মানবজাতির শান্তি ও উন্নতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় দৈনিকে বৌদ্ধধর্মে আষাঢ়ী পূর্ণিমার তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে।