রম্য
গরুর দাম কমানোর ৬ টিপস!
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গরুর গোশতের দাম। এখন ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দুদিন পর তা আরো বাড়বে না, এই গ্যারান্টি কেউই দিতে পারবে না। তাহলে কীভাবে কম দামে গরুর গোশত পাওয়া যেতে পারে, চলুন দেখা যাক :
টিপস-১
গরুর গোশতের বদলে গোশতের ফ্লেভার আবিষ্কার করতে হবে। তাহলে রান্নায় কেবল ফ্লেভার ইউজ করলেই গরুর গোশতের স্বাদ পাওয়া যাবে। এতে করে বাজারে গরুর গোশতের ওপর চাপ কম থাকবে। আর চাপ কম থাকলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।
টিপস-২
আমাদের দেশের বেশিরভাগ গরু আসে ভারত আর নেপাল থেকে। অথচ সারা বিশ্ব জানে, কম দামে জিনিস দেওয়ার ক্ষেত্রে চায়নার কোনো বিকল্প নেই। তাই অন্যান্য দেশ বাদ দিয়ে এখন চায়না থেকে গরু আমদানি করতে হবে। এর ফলে গরুর কোনো গ্যারান্টি থাকুক বা না থাকুক, দাম কমার গ্যারান্টি হান্ড্রেড পার্সেন্টই পাওয়া যাবে।
টিপস-৩
গরুকে ডায়েট করানো... মানে ঘাস, লতাপাতা এসব একদমই খাওয়ানো যাবে না। এর বদলে রিচ ফুড খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। তাহলে প্রতিটি গরুই হ্যাংলা-পাতলার বদলে নাদুস-নুদুস ফিগারের অধিকারী হতে বাধ্য। এতে করে গরুগুলো থেকে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে গোশত পাওয়া যাবে। আর গোশত বেশি পেলে দাম অটোমেটিক কমে যাবে, তা বলতে হয় নাকি?
টিপস-৪
একই গোশতের টুকরা বারবার রিফাইন্ড করে বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করা শিখতে হবে। যার ফলে বাজারে গোশতের চাহিদা কমে যাবে। আর চাহিদা কমলে দাম এমনিতেই কমে যায়।
টিপস-৫
চালের দাম বেড়ে গেলে ভাতের ওপর চাপ কমাতে আলু বা বাঁধাকপি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা। ঠিক তেমনি গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর বদলে যদি তেনারা বিকল্প কিছু খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন, তাহলে গরুর দাম কমার সম্ভাবনা একটু হলেও থাকবে।
টিপস-৬
গরুর নামে দেশে বিভিন্ন কোম্পানি খুলতে হবে। আর যে দেশে ৭৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে সাধারণ বাল্ব বিক্রি হতে পারে, সে দেশে কোম্পানি প্রচারের স্বার্থে গরুর দাম কমবে না, তা কী হয়?