রম্য
বৃষ্টির রাতে, ইলিশ-খিচুড়ির সঙ্গে!
প্রকৃতি আমাদের মনের রংকে সময়ে-অসময়ের রংধনুতে রূপান্তর করে দেয়। বৃষ্টি আমাদের প্রকৃতিরই একটা অংশ। আর এই বৃষ্টির আগমন ঘটলেই আমাদের অনেকের মাঝে ইলিশ-খিচুড়ি খাওয়ার প্রবণতা কয়েক লক্ষ গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয়? চলুন, গুগলে সার্চ না দিয়েই খুঁজে বের করার চেষ্টা করি কী সেই কারণ।
খিচুড়িকে জগাখিচুড়িমুক্ত রাখতে
জগাখিচুড়ি মানেই ঝামেলাময় যেকোনো কিছু বা উল্টোপাল্টা অথবা ঘোলাটে কিছু। আর এই জগাখিচুড়ি শব্দটির জন্যই প্রকৃত খিচুড়ির সব সময় মানহানি ঘটে থাকে। তাই খিচুড়ির মান উদ্ধারের লক্ষ্যেই বৃষ্টিময় নির্ভেজাল পরিবেশকে খিচুড়ি ভক্ষণের জন্য বেছে নিয়েছে পাবলিক।
জাতীয় মাছের জন্ম স্মরণে
সহজ কথা পেঁচিয়ে বলা মোটেও ঠিক নয়! আমরা সবাই জানি, জাতীয় মাছ ইলিশের জন্ম হয় পানিতে। তাই খুবই সহজ হিসাব, পানিবিহীন ইলিশ কল্পনা করাও ঠিক নয়। এদিকে বৃষ্টি মানেই হলো, আকাশ থেকে ঝুমঝুম শব্দে মাটিতে পানির আগমন। আর তাই পানির আগমনে ইলিশের কথা খুব করে মনে পড়ে বলেই তো এভাবে ইলিশ ভক্ষণ! বোঝা গেল ব্যাপারটা?
ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে ইলিশ-খিচুড়ি
সম্রাট আকবরের আমল থেকে পয়লা বৈশাখের প্রচলন শুরু। আর পহেলা বৈশাখ মানেই যেন পান্তা-ইলিশ ভক্ষণ। এটা যেমন এক প্রকার ঐতিহ্য, তেমনিভাবে বৃষ্টির আগমনে ইলিশ-খিচুড়ি ভক্ষণও একটি মহাঐতিহ্য। যদিও এই ইলিশ-খিচুড়ি ভক্ষণ ঐতিহ্য কোন সম্রাটের আমল থেকে প্রচলন শুরু হয়, তা আজও জানা যায়নি!
ফেসবুকে চেকইন এবং স্টাটাস দেওয়ার লক্ষ্যে
বৃষ্টির রাতে ফেসবুক খুললেই দেখা মিলছে, বিভিন্ন হোটেলে চেকইন দিয়ে ‘এই বৃষ্টিময় রাতে অমুক হোটেলে তমুকের সঙ্গে ইলিশ-খিচুড়ি খাচ্ছি’, কেউ কেউ তো আকাশে মেঘ দেখলেই চুলায় খিচুড়ি তুলে দেন। পরে সেসব ছবি আবার আপলোডও দেন। অনেকে আরো একধাপ এগিয়ে ইলিশ-খিচুড়ির সঙ্গে সেলফি তুলেও পোস্ট করছেন। এসব দেখে অনেকে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন না! চলে যান, ইলিশ-খিচুড়ি ভক্ষণের খোঁজে।