রম্য
ব্লু হোয়েল আউট, ব্লু চোখের তাসকিন ইন
সিনেমা হলে সবাই যাচ্ছে, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্র দেখতে। কিন্তু ফিরছে ব্লু চোখের তাসকিন অ্যাটাক হয়ে। কেননা, ঢাকা অ্যাটাকের তাসকিনে সবাই এতোটা মুগ্ধ যে, মেয়েরা তো ক্রাশ খাচ্ছেই, পাশাপাশি ছেলেরাও বাদ যাচ্ছে না। এই জোয়ারে ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি কিন্তু ভেসে গেছে। কিন্তু কেন এমনটা হলো? প্রিয় পাঠক হাস্যরসের তদন্ত উঠে এসেছে তাসকিনে ক্রাশ খাওয়ার নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।আসুন পড়ে মজা নিই।
১. ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় সবচে একা মানুষ ছিলো তাসকিন। নায়ক, নায়িকা, পুলিশ এমনকি তারা চাচা সহ সবাই ছেলেটার বিরুদ্ধে ছিল। কী আর করা, এই নিরীহ ভাইটি অর্থাৎ তাসকিনের তখন দর্শক ছাড়া আর কেউ ছিলো না। তাই দর্শক ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল হয়ে তাকে সাপোর্ট করে। কেননা, সিনেমায় যার কেউ নাই, তাঁর দর্শক আছে।
২. তাসকিন মানেই ক্রাশশীল। সে ক্রিকেটার হোক কিংবা সিনেমার ভিলেন। তাসকিন ঐক্যজোটের নেতাদের পক্ষ থেকে ভিলেন তাসকিন সেটা আবার প্রমাণ করে দিলেন।
৩. মেয়েদের ক্রাশ খাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ছেলেরা তাসকিনে ক্রাশ খাচ্ছে ক্যান? যারা জানতে চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য একটা কথা, বলিউডের একজন নায়িকা আছেন ঐশ্বরিয়া, যার চোখ নীল।কিন্তু বাংলাদেশে এমন কোন নায়িকা নেই। তাই অনেক ছেলেরা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য তাসকিনের নীল চোখে ক্রাশ খাচ্ছে।
৪. তাসকিন ভিলেন হলেও নায়িকার পিছনে দৌঁড়ায়নি। নায়িকার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করেনি।তাছাড়া বাস্তবে অনেক সময় দেখা যায়, যে ছেলে মেয়েদের পিছু নেয় না, তার পিছু মেয়েরা নেয়।সুতরাং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারি, সেই কারণে মেয়েরা তাসকিনে ক্রাশ খাচ্ছে। কেননা আজকাল এইরকম ছেলে পাওয়া অনেক টাফ।
৫. এত সুন্দর চেহারা থাকা সত্ত্বেও দেশি এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাসকিনকে ভিলেন করা হয়েছে। যা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ প্রেমীরা। সেজন্য তাসকিনে সবাই ক্রাশ খেয়ে প্রমাণ করল—তাসকিন তোমার ভয় নাই, সিনেমা হল ছাড়ি নাই।