রম্য
সোফিয়ার সাবেক প্রেমিক রোবট মজনু!
রোবট সোফিয়া এখন বাংলাদেশে। এ কারণে বাংলাদেশের রোবট সম্প্রদায়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমনকি হুট করে মজনু নামের এক রোবটের আবির্ভাব ঘটেছে। সে দাবি করছে, সোফিয়া আসলে তার হারিয়ে যাওয়া ‘লাইলি’। চলুন জেনে নিই, রোবট মজনু আসলে কী বলতে চায়।
হাস্যরস : রোবট মজনু, আপনি কি আসলেই প্রেমিকা হারিয়েছেন?
রোবট মজনু : হ্যাঁ। ওই আমার লাইলি। স্মৃতি বিভ্রাট হয়ে গেছে তার। নাম নিয়েছে সোফিয়া।
হাস্যরস : আপনার সাবেক প্রেমিকা সোফিয়া দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনি দেশে কী করছেন?
রোবট মজনু : রোবট সোফিয়া আসলে বাংলাদেশি। আমি তাকে বিয়ে করে বাংলাদেশেই রাখতে চাই।
হাস্যরস : বলেন কী?
রোবট মজনু : এখানে অবাক হইবার কী আছে? সেও নাটবল্টু দিয়ে গড়া। আমিও নাটবল্টুর দিয়ে তৈরি।
হাস্যরস : ওহ! আচ্ছা, রোবট সোফিয়াকে নিয়ে দেশে এত মাতামাতি হচ্ছে, কিন্তু আপনার খোঁজ এত দিন কেউ রাখেনি কেন?
রোবট মজনু : শোনেন, আমাদের দেশের মানুষ শুধু দেশি মোরগ ছাড়া দেশের আর কোনো কিছুকে তেমন একটা পাত্তা দেয় না। এই যে আপনারা, একটার পর একটা লেখা রোবট সোফিয়াকে নিয়ে প্রকাশ করছেন, অথচ আমাদের নিয়ে লিখছেন না।
হাস্যরস : আসলে পাবলিক ডিমান্ড সোফিয়ার দিকে। সুতরাং আমাদের কিছু করার নাই।
রোবট মজনু : তাইলে এখন আমার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন কেন?
হাস্যরস : পাঠক আপনার কাছ থেকে একটা বিষয় জানতে চায়।
রোবট মজনু : কী সেটা?
হাস্যরস : রোবট সোফিয়ার সঙ্গে আপনার পরিচয় নাকি ধোলাইখালে?
রোবট মজনু : এটা মিডিয়ার সৃষ্টি। দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। তা ছাড়া পরিচয় যেখানেই হোক, আমি তারে বিয়া করতে চাই।
হাস্যরস : কেন, সৌদি আরবের নাগরিক হওয়ার ইচ্ছা?
রোবট মজনু : এত্তো বেশি বোঝেন ক্যান?
হাস্যরস : আচ্ছা যাক, বেশি বুঝব না। হাস্যরসে সাক্ষাৎকার দিয়ে কেমন লাগছে?
রোবট মজনু : অনুভূতি এখন প্রকাশ করা যাবে না। কারণ অনুভূতি যে ডিভাইস দিয়ে প্রকাশ হয়, সেটার চার্জ চলে গেছে। চার্জ দিয়ে পরে কথা বলব। পারলে একটা চিকন পিনের চার্জার জোগাড় করেন।