রম্য
হরেক রকম ‘ভাই’
আমাদের আশপাশে হরেক রকম ভাইয়ের ছড়াছড়ি। সে রকম কতিপয় ভাইয়ের কথা জানাচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
পাড়ার ভাই
প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় অন্তত একজন সর্বজনবিদিত ‘ভাই’ থাকেন। তার ‘কর্মের গুণে’ পাড়ার সবাই তাকে ভয় পায়। এ ধরনের ভাইকে পাড়ার সকলে সমীহ করে চলে। পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে পা রাখামাত্রই ‘ভাইয়ের’ জন্য চা, পান, সিগারেট এসে হাজির হয়।
দলীয় ভাই
এই ‘ভাই’ কোনো দলের উঁচু বা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থাকেন। তার সুনজরে থাকার জন্য নিচু স্তরের পদে থাকা ব্যক্তিরা সর্বদা ‘ভাইয়ের’ নাম জপেন। ফেসবুকেও সবাই এই ভাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। ‘ভাই’ ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিলে সেটাতে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের বন্যা বয়ে যায়।
ষণ্ডাভাই
ইনি হচ্ছেন কোনো সুন্দরীর বড় ভাই। সুন্দরীর প্রেমিকের চোখে তিনি হলেন ‘ষণ্ডাভাই’। জনৈক এক গবেষণার (কে করেছেন, তা জানতে চাহিয়া লজ্জা পাবেন না) তথ্যানুসারে, প্রেমিকার বড় ভাইদের চেহারা তামিল ফিল্মের ভিলেনদের মতো হয়। এই ভাইকে তাই প্রেমিকসমাজ বড্ড ভয় পায়।
মুশকিল-আসান ভাই
আমাদের পরিচিতজনদের সার্কেলে এমন এক ভাই থাকেন, যার কাছ থেকে সকল মুশকিলে পরামর্শ মেলে। ইনি হচ্ছেন ‘মুশকিল আসান ভাই’। কারো পেটব্যথা, কোন ডাক্তার দেখাতে হবে বলে দেবেন মুশকিল আসান ভাই; অন্য কারো সঙ্গে প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, সেটা ঠেকাতে প্রেমিকেরও অগ্রভাগে থাকবেন মুশকিল আসান ভাই।
অ্যাসাইনমেন্ট ভাই
ভার্সিটিতে অ্যাসাইনমেন্ট করতে গেলে কতিপয় অলসের ‘জান বেরিয়ে যায়’। তাদের ‘জান বাঁচাতে’ এগিয়ে আসেন ‘অ্যাসাইনমেন্ট ভাই’। তিনি ওই অলসদের অ্যাসাইমেন্ট করে দেন। অন্য সময় এই ‘ভাইকে’ অলসরা ‘রে তুই’ করে ডাকলেও অ্যাসাইনমেন্টের সময় সবাই তাকে ‘তুমি তো আমার লক্ষ্মীভাই’, ‘তুমি আছো বলেই তো আমরা টিকে আছি!’ ‘তোমার মতো মানুষই হয় না।’ প্রভৃতি নানা মধুর কথা বলে থাকে।