রম্য
মাঠে নামার আগে পগবা যা বললেন
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ নামবে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। এই মহারণের আগে হাস্যরস বিভাগ জরুরি এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার পল পগবার। বলাই বাহুল্য, সাক্ষাৎকারটি শতভাগ কাল্পনিক।
হাস্যরস : কোন প্রশ্ন দিয়ে সাক্ষাৎকার শুরু হলে আপনি খুশি হবেন, মিস্টার পগবা?
পল পগবা : যে প্রশ্ন এখনো কেউ করেনি।
হাস্যরস : অ্যা? (মনে মনে, এই লোক তো ডেঞ্জারাস!) আচ্ছা, আমরা ওদিকে আর না যাই। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার, তাই আজেবাজে কথা না বলাই ভালো...
পগবা : আটকে গিয়ে এখন উল্টোগীত গাইছেন! হা হা হা...
হাস্যরস : ইয়ে মানে, জনাব পগবা, আমরা মূল বিষয়ে আসি। কেমন?
পগবা : আমি আপনাকে বিব্রত করতে চাই না। শুরু হোক আসল আলাপ।
হাস্যরস : বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে গেলেন। অনুভূতি কী?
পগবা : ফিলিংস উড়াধুড়া।
হাস্যরস : এই মন্তব্য কতিপয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাসের মতো হয়ে গেল না?
পগবা : হয়ে গেলে মনে করেন হয়ে গেছে।
হাস্যরস : অ্যা? জনাব পগবা, আপনার কথাবার্তা কেমন কেমন যেন লাগছে।
পগবা : লাগবেই তো। বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে কথাবার্তা সহজ করে বললে তো হবে না। একটা ভাবসাবের ব্যাপার আছে তো।
হাস্যরস : তাই নাকি! তা চ্যাম্পিয়ন কে হবে বলে মনে করছেন?
পগবা : যে হওয়ার, সে-ই হবে।
হাস্যরস : ক্রোয়েশিয়া তো এবার দারুণ খেলছে। সমালোচকরা বলছেন, ক্রোয়াটরা হৃদয় দিয়ে খেলছে বলেই ফাইনালে এসেছে। তারা নাকি এবার বিশ্বকাপ নিতে পারে?
পগবা : ক্রোয়েশিয়া কাপ নেবে? হা হা হা... হাসাইয়েন না, ভাই। আমরা কি ফাইনালে সেভেন আপ খেতে নামব?
হাস্যরস : সেভেন আপের কথা কেন বললেন? আপনি কী ব্রাজিল সমর্থকদের খোঁচা দিলেন?
পগবা : আপনি তো বড্ড চালাক। আমার কথাকে অন্যদিকে টেনে এনে ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে আমাকে শত্রু বানাতে চাইছেন, না?
হাস্যরস : আরে না। ওই রকম কিছু না।
পগবা : বুঝি তো। শুনেন, আর্জেন্টিনাকে ফ্রান্স চার গোল দিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করায় আর্জেন্টাইন সমর্থকরা ক্ষেপে আছে। এখন ব্রাজিল সমর্থকদের ক্ষেপানোর কোনো ইচ্ছে, অভিলাষ আমার নাই।
হাস্যরস : আপনার সাক্ষাৎকার দীর্ঘ করার কোনো ইচ্ছেও আমার নাই। শুভ বিদায়।