রম্য
অনলাইনে গরু ক্রেতা-বিক্রেতার স্ক্রিনশট ফাঁস
আক্কাস উদ্দীন is waving at you!
বিক্রেতা : কী চাচা, থাপ্পড় মারেন ক্যান?
আক্কাস উদ্দীন : আরে বলদ, এইটাকে হাত মিলানো বলে, থাপ্পড় মারা না।
বিক্রেতা : ওহ, তাই বলেন। তা চাচা কী লাগবে আপনার?
আক্কাস উদ্দীন : গরু লাগবে, গরু। পেজের ছবিগুলা দেখে বেশ কয়েকটা গরু পছন্দ হলো। কিন্তু ভয় লাগছে ছবিগুলো আবার এডিট করা না তো?
বিক্রেতা : কী যে বলেন চাচা! মানুষ গরুর ছবি এডিট করতে যাবে কোন দুঃখে?
আক্কাস উদ্দীন : ওখানেই তো সমস্যা, ভাগ্নে। মানুষ পারে না এমন কোনো অকাজ এই দুনিয়ায় নাই। এডিট তো কোন ছাড়!
বিক্রেতা : আপনি চাইলে আমি ভিডিওকলে আপনাকে সব গরু দেখাতে পারি।
আক্কাস উদ্দীন : থাক, ভিডিওকলে কাজ নাই। সেখানেই কি আর কম ফিল্টার আছে নাকি? চারদিকে শুধু ফিল্টারের ছড়াছড়ি।
বিক্রেতা : ফিল্টার ছাড়া গরুগুলো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই চায় না, চাচা। আমাদের দোষ দিয়ে কী লাভ?
আক্কাস উদ্দীন : ওই হয়েছে এক সমস্যা। আগে পোলাপান ছোটবেলায় গরু-গাধা থাকত। বাবা-মা স্কুলে পাঠায় শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করে সেসব গরু-গাধাকে মানুষ বানাত। আর এখন কি না সত্যিকারের গরু-গাধারাও মানুষের মতো হয়ে যাচ্ছে।
বিক্রেতা : চাচা, এত কথায় কাজ নাই। গরু নিবেন কি না, সেইটা বলেন।
আক্কাস উদ্দীন : রাখো মিয়া, তোমার গরু। কাল হাটে যাবো। যে গরুটা ফিল্টার ছাড়াও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারে, সে রকম খাঁটি গরুই কিনব। গরুরূপী মানুষ কিনে আমার লাভ নাই।
বিক্রেতা : তাই যান, চাচা। আর কথা বাড়াইয়েন না। ওদিকে আবার মর্জিনাকে ভিডিওকল দেওয়ার সময় হইছে।