রম্য
এই ঈদে তাদের ওপর ভীষণ চাপ
এই কোরবানির ঈদে যাদের ওপর বাড়তি চাপ থাকে, তাদের কথা জানাচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
গরু-ছাগল : এই ঈদে কোরবানির তালিকায় গরু ও ছাগলের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। হাটে, মাঠে, ঘাটে সর্বত্রই এখন একটাই আলোচনা, ‘গরু না ছাগল?’
চাপাতি : কোরবানির ঈদ আসে, বেড়ে যায় চাপাতির চাহিদা। মাংস কাটতে চাপাতির বিকল্প একমাত্র চাপাতিই।
কসাই : চাপাতি হলেই তো কাজ সারা হয়ে যায় না। মাংস কাটতে চাপাতি যিনি ব্যবহার করবেন, তিনি হলেন কসাই। সংখ্যায় কম হওয়ায় এই ঈদে কসাইদের ওপর হেভি চাপ, একেকজনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে কোরবানি দাতাদের গলদগর্ম হতে হচ্ছে।
সড়ক ও যানবাহন : দেশে মানুষের সংখ্যা অত্যধিক হওয়ায় এমনিতেই সড়ক ও যানের ওপর চাপ প্রবল। এর সঙ্গে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ যুক্ত হয়ে দেশের সড়ক ও যানবাহনের ওপর ধকল বেড়ে যায় অনেক গুণ।
স্বামী : কোনো উৎসব-অনুষ্ঠান ছাড়াই স্বামীরা স্ত্রীদের শপিং নিয়ে ভয়ে থাকেন। আর এ তো ঈদ! স্বামীদের পকেটে তাই বাড়তি চাপ।
পেট : দেশে খাদকের সংখ্যা কম, এ রকম তথ্য কোনো কালেই কেউ দেয়নি। কোরবানির ঈদ এলেই বরঞ্চ খাদকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অপ্রকাশিত এক গবেষণার তথ্যানুসারে, একজন মানুষ সারা বছর গরুর বা ছাগলের মাংস যতটুকু খায়, কোরবানির ঈদে তার চেয়েও বেশি খায়। মানুষ দাঁত দিয়ে চাবায়, জিহ্বা দিয়ে স্বাদ নেয়। কিন্তু সব চাপ পড়ে গিয়ে পেটের ওপর!
ওরস্যালাইন : জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা মানুষের চিরন্তন স্বভাব। আর তাই এই ঈদে লাগামহীন খানাপিনার পর মাত্রাতিরিক্ত চাপে পেটের আকাশে দেখা দেয় মেঘ। শুরু হয় গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ। তখন মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে ওরস্যালাইনের ওপর।
ফেসবুক : ফেসবুক ছাড়া তো আজকাল চলেই না। গরু কিনতে হাটে যাওয়া, গরু কেনা, গরুর সঙ্গে সেলফি তোলা, গরুকে বাসায় আনা, ঘাস খাওয়ানো, গরু জবাই, মাংস কাটা, সেই মাংস দিয়ে খাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি সবকিছুই মানুষ এখন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানায়। ফেসবুকে বয়ে যায় পোস্টের জলোচ্ছ্বাস (বন্যা বললে কম হয়ে যায়!)।