রম্য
গ্র্যাজুয়েশন পার্টি দেখে হিংসে হয়?
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কিন্তু কী কারণে-অকারণে এত আলোচনা-সমালোচনা? প্রিয় পাঠক, আসুন সেফুদার কাল্পনিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জেনে নিই।
হাস্যরস : ভাই, কেমন আছেন?
সেফুদা : আমি কি তোদের ভাই? দাদা বল।
হাস্যরস : সরি।
সেফুদা : আবার সরি। বাংলায় বল দুঃখিত। বাংলা পারিস না?
হাস্যরস : দুঃখিত দাদা। কাজের কথায় আসি।
সেফুদা : তোদের কি মনে হয়, আমি অকাজের কথা বলি? এখন তো তোকে ‘শব্দবমা’ মারতে ইচ্ছে হচ্ছে। ট্রস ট্রস করে। কিন্তু মারব না।
হাস্যরস : কেন মারবেন না?
সেফুদা : কারণ, এখন রাত হয়নি। আমি এখন পানি খাব, সাক্ষাৎকার দিব। তুইও পানি খা, মানুষ হবি।
হাস্যরস : তাইলে পানি দেন।
সেফুদা : দেশি পানি খাবি, নাকি বিদেশি?
হাস্যরস : পানি আবার দেশি-বিদেশি আছে নাকি?
সেফুদা : আছে আছে। তুই ছোটলোক, বুঝবি না। দেশে পানি হচ্ছে নরমাল, বিদেশি হচ্ছে মিনারেল, যেটা আমি খাই। আমার বান্ধবীর মিনারেল পানির কোম্পানি আছে। ওর কথা শুনলে তোদের হিংসে হবে।
হাস্যরস : হিংসে হবে কেন?
সেফুদা : গ্র্যাজুয়েশন পার্টি দেখে হিংসে হয়। তোরা তো সামান্য পার্টি দেখে হিংসা সংযত করতে পারিস নাই। আরে, উন্নত দেশে এইগুলো তো কমন বিষয়। কেউ ক্লাস ওয়ান থেকে টুতে গেলেই তারা পার্টি করে।
হাস্যরস : পার্টি দেখে আমাদের এত হিংসে হয় কেন?
সেফুদা : কারণ তোরা অশিক্ষিত, হিংসুক। পড়ালেখা করিস না। কেউ তার সাফল্য উদযাপন করলে তোরা সেটা সহ্য করতে পারিস না।
হাস্যরস : তো, এখন এই হিংসে থেকে বাঁচার উপায়?
সেফুদা : বেশি করে পানি খা, মানুষ হবি।