শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়েছে পুঁজিবাজারে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় এদিন লেনদেন পরিমাণ কমেছে। এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়েছে। ফলে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধির চেয়ে কমেছে বেশি।
পুঁজিবাজারের মন্দা প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারীরা বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের ভেতর ও বাইরে এক ধরনের অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রভাব দেশের পুঁজিবাজারে পড়েছে। এরই ধারায় আজ পুঁজিবাজারে অধিকাংশ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকা ঘরে চলে এসেছে। প্রধান সূচকেও পতন।
ডিএসইর সূত্রে জানা যায়, বুধবার ডিএসইতে ৩৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগেরদিন মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৫২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭৩ দশমিক ৭১ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬০ দশমিক ৪২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির ও কমেছে ৯২টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৬৭টির।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সী পার্ল বিচের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর মনোস্পুল পেপারের ২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ১৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারীর ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেমিনি সী ফুডের ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, শমরিতা হাসপাতালের ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, সোনালী আঁশের ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং লিবরা ইনফিউশনের ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
বুধবার সর্বোচ্চ দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে ফার কেমিক্যালের শেয়ার। শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিন মঙ্গলবার দর ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা। একদিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া দর বাড়ার শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচ হ্যাচারীর ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ, মনোস্পুল পেপারের ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ, মেঘনা সিমেন্টের ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, এডিএন টেলিকমের ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, আনলিমায়ারন ডাইংয়ের ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের ২ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টির ২ দশমিক ৭০ শতাংশের শেয়ার দর বেড়েছে।
বুধবার সর্বোচ্চ দর কমার শীর্ষে ছিল ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের শেয়ার। শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১০ পয়সা। যা আগেরদিন মঙ্গলবার দর ছিল ২৫ টাকা ৬০ পয়সা। একদিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া দর পতনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশবন্ধু পলিমারের ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এমবি ফার্মার ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সমতা লেদারের ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনের ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং সিএপিএম বিডিবিএল ফান্ড ওয়ানের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশের শেয়ার দর কমেছে।