প্রধান সূচক ডিএসইতে উত্থান থাকলেও সিএসইতে পতন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (৫ নভেম্বর) প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার চেয়ে বেড়েছে বেশি। এদিন লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবস থেকে বেড়েছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন প্রধান সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। কমার চেয়ে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। কমেছে লেনদেনও।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, রোববার ডিএসইতে ৪৭০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগেরদিন বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭৫ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির ও কমেছে ৪০টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৫৩টির।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর এমারেল্ড অয়েলের ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ১৯ কোটি ৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা, শমরিতা হাসপাতালের ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচের ১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারীর ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, জেমিনি সী ফুডের ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
এদিন সর্বোচ্চ দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিন বৃহস্পতিবার দর ছিল ৮৮ টাকা। একদিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। এছাড়া দর বাড়ার শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৫ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ইন্ট্রাকোর ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, শমরিতা হসপিটালের ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং আজিজ পাইপসের ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশের শেয়ার দর বেড়েছে।
এদিন সর্বোচ্চ দর কমার শীর্ষে ছিল ফার কেমিক্যালের শেয়ার। শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। যা আগেরদিন বৃহস্পতিবার দর ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা। একদিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া দর পতনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাপটিক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, আরএন স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এমবি ফার্মার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, সী পার্লের ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৪ দশমিক ১১ শতাংশ, মুন্নু এগ্রোর ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, ন্যাশনাল টির ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ওরিয়ন ইনফিউশনের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশের শেয়ার দর কমেছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার ৬ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭১ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক ১ দশমিক ১২ পয়েন্ট ও সিএসই৩০ সূচক ৯ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট করে কমেছে। এছাড়া সিএসসিএক্স সূচক ২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট করে বেড়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৬ কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬১টির এবং কমেছে ৩৩টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৫২টির। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এরপর লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আরডি ফুডের ৩৫ লাখ টাকা, দেশবন্ধু পলিমারের ৩৪ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারীর ৩৪ লাখ টাকা, ফরচুন সুজের ৩৪ লাখ টাকা, এপেক্স ফুডের ২৮ লাখ টাকা, আইপিডিসির ২৭ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকোর ২২ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ২১ লাখ টাকা এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ১৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।