সিএসইতে মূলধন কমেছে ৪৩০৪ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। দুইটি বাদে বাকী চার ধরনের সূচক পতন হয়েছে। টপটেনের ৬০ শতাংশই দুর্বল কোম্পানির (‘বি’ ক্যাটাগরি) শেয়ারের দখলে রয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৩০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬২টির, দর কমেছে ৬৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৪টি কোম্পানির।
দুইটি বাদে বাকী চার ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৯৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। সিএসই৩০ সূচক দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ১১ শতাংশ এবং সিএসইআই সূচক দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১২১ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩০৭ দশমিক ৮০ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ৫৫১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৬০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এ ক্যাটাগরির ৪০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। একাই ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। এছাড়া সেন্ট্রাল ফার্মার (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডান্ট্রিজের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, একমি পেস্টিসাইডের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা, উত্তরা ব্যাংকের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, রুপালী ব্যাংকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্ট্রিংয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ৭ লাখ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ২ লাখ টাকা এবং বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।