লোকসানে পড়ায় লভ্যাংশ দেবে না ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের (জুলাই-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই শূন্য লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। আজ রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডসের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮২ পয়সা। আগের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। সেই হিসেবে সমাপ্ত অর্থবছরে লোকসান কমেছে ৮৩ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) নেগেটিভ ৮৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের এনওসিএফপিএস ছিল নেগেটিভ ৫৭ পয়সা।
গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৯২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায়। লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর।
লভ্যাংশ না দেওয়ার প্রসঙ্গে কোম্পানির সচিব এস এম রেজওয়ান রিজভী বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডসের ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার একোয়ার করে নেয় কোম্পানির নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি। এরপরই কোম্পানিটিতে হোঁচট খেতে হয়। সবকিছু সামাল দিয়ে ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের (জুলাই-জুন) শেষ সাড়ে ৭ মাস কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদন সক্ষমতা ৫০ শতাংশে আসে। এতেও বিদায়ী সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি লোকসান বৃত্ত ছোট হয়ে আসে।
আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির উৎপাদন আরও বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ৬৫ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে। আশা করছি, ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে শিগগিরই শতভাগ চলে আসবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৭০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬৭ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮১টি। রিজার্ভ রয়েছে ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রোববার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৩ টাকা টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার ধারণ করেছে ৩০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।