গ্রামীণফোনের আয়ের ৪৯ শতাংশ রিটেইল প্রফিটে, বাকি শেয়ারহোল্ডারদের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির গ্রামীণফোনের (জিপি) ২০২৩ সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা। এর মধ্যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা পাবে ১২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। বাকি ১১ টাকা ৯৯ পয়সা বা ৪৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ চলে যাবে কোম্পানির রিটেইল প্রফিটে। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সমাপ্ত বছরে আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলোচিত সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের ২০২২ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২২ টাকা ২৯ পয়সা। এসময়ের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) রয়েছে ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছরের এনওসিএফপিএস ছিল ৪৭ টাকা ২৬ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৩৪ টাকা ২২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হবে আগামী ২ মে, সকাল সাড়ে ১০টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি।
গ্রামীণফোনের মুনাফায় ইতিবাচক জানিয়ে এক চিঠির মাধ্যমে ডিএসইকে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানায়, আগের অর্থবছর থেকে সমাপ্ত অর্থবছরে মুনাফা বেড়েছে। এতে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ। একইসঙ্গে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যও বেড়েছে।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন চার হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৯০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক পাঁচ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দুই দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।