আনুষ্ঠানিক অবসরে রাজ্জাক-নাফীস
সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর মঞ্চ প্রস্তুত ছিল আগেই। এবার আনুষ্ঠানিক বিদায় বলে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই প্রিয় মুখ আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফীস। আজ শনিবার একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই দুই ক্রিকেটার।
এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাবেন রাজ্জাক ও নাফীস। কদিন আগে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলে নিয়োগ পেয়েছেন দেশের সফল স্পিনার রাজ্জাক। এরই মধ্যে বিসিবির তৃতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
রাজ্জাকের পাশাপাশি বিসিবির পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার হিসেবে দেখা যাবে নাফীসকে। মূল দায়িত্বে বহাল হওয়ার আগে আজ সব ধরনের ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন দুজন।
রাজ্জাক-নাফীসের বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ ছাড়া সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররাসহ বিসিবির বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্জাক-নাফীস দুজনকে ক্রেস্ট তুলে দিয়ে সম্মান জানিয়েছে বিসিবি। একই সঙ্গে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানিয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব)।
নিজেদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে আবেগে ভেসেছেন রাজ্জাক ও নাফীস। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা জানাতে গিয়ে চোখের জল সামলাতে পারেননি বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নাফীস। দুজনেই ক্রিকেট অনুরাগী, ছোটবেলার কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও নিজেদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। নতুন দায়িত্বের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
জাতীয় দলের হয়ে ২০০৪ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল রাজ্জাকের। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৩৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের জার্সিতে ১৩ টেস্ট খেলে ২৮ উইকেট নিয়েছেন। আর ওয়ানডেতে ২০৭ ও টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন এই স্পিনার।
অন্যদিকে দেশের হয়ে ২৪ টেস্ট, ৭৫টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নাফীস। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের প্রথম অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে চারটি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফসেঞ্চুরির মোট দুই হাজার ২০১ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তাঁর টেস্ট সেঞ্চুরি আছে।
জাতীয় দলের চেয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আরও বেশি সফল ক্রিকেটার নাফীস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ১২৪ ম্যাচ খেলে ১৫ সেঞ্চুরি এবং ৪৮ হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে আট হাজার ১৪১ রান করেছেন।