দায় মুমিনুলের কিন্তু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কারা?
একদিন বাদেই পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ দল। তবে এখনো প্রথম টেস্টের পরাজয়ের ক্ষত নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিশেষ করে আলোচনার কেন্দ্রে, টসের সিদ্ধান্ত। ডারবানে টস জিতে বাংলাদেশ বোলিং নিয়েছিল। অথচ বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকান হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড নাকি বলেছিলেন আগে ব্যাটিং নেওয়ার কথা।
অধিনায়ক মুমিনুল হকও সায় দিয়েছিলেন তাতে। তাহলে টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত কার? প্রশ্নটা সেখানেই। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দিয়েছেন সেই উত্তর। তিনি জানিয়েছেন, টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা না বলে এসব নিয়ে বলা কঠিন। তবে আমি জানি, দুজন কোচ (রাসেল ডমিঙ্গো এবং অ্যালান ডোনাল্ড) সেখানকার উইকেট নিয়ে ব্রিফ করেছিলেন। তাঁদের পরামর্শ ছিল, শেষ দিকে ব্যাট করা কঠিন হবে কারণ বল ঘুরবে। অবশ্যই তারা সেখানকার কোচ। নিজেদের কন্ডিশন সম্পর্কে তারা ভালো জানবে। কিন্তু কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার বলেছিলেন, তারা প্রথমে ব্যাট করতে চাননা। এখন এটা নিয়ে আমি কী করতে পারি? আমার কিছু বলার নেই।’
যদিও ম্যাচ শেষে সব দায়ভার নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিজের ব্যাটিংও পোড়াচ্ছে অধিনায়ককে। নিজেকে কাঠগড়ায় তুলে মুমিনুল বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার দায়টা অনেক বেশি ছিল। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বটা অনেক বেশি ছিল। যেটা আমি নিতে পারিনি দুই ইনিংসেই। প্রথম ইনিংসেও পারিনি, দ্বিতীয় ইনিংসেও পারিনি। আমার কাছে মনে হয়, দায়টা পুরোপুরি আমারই ছিল। দলকে আমি সেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি। অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসেই আমার দলকে আরও ভালোভাবে লিড দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত।’
টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে গড়বড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমেও কিছুটা অস্থিরতা চলছে। বাংলাদেশ দল দেশে ফিরলে সেসব সমস্যা সমাধানের কথা বলছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, খারাপ পারফরম্যান্সের পর আমরা শুধু ডোমিঙ্গোকে বলির পাঠা বানানোর চেষ্টা করি। সব ক্রিকেটাররা কি তার কথা শোনে? আমি জানতে চাই, ক্রিকেটাররা কি সত্যিই শোনে তারা (কোচরা) কী বলতে চায়?’
সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিসিবিপ্রধান বলেন, ‘যেসব ক্রিকেটাররা ডোমিঙ্গোর কথা শোনে তারা ঠিকই উন্নতি করছে। আমি লিখে দিতে পারি, যদি ১৫ জন ক্রিকেটারকে ডাকি, অন্তত ১১ জন বলবে ডোমিঙ্গো ভালো কোচ। দুই-তিনজন হয়তো আছে, যারা ভিন্ন কথা বলবে। আমাকে তাদের কথা শুনতে হবে যারা কোচের সঙ্গে কাজ করছে। যখন তারা ফিরবে তখন কোচের সামনে সবার সঙ্গে বসে সবকিছু সমাধান করব।’