দেশে ফিরে যে স্বস্তির কথা জানালেন শান্ত
প্রতিপক্ষ হিসেবে খুব একটা কঠিন ছিল না আয়ারল্যান্ড। তার ওপর কিছুদিন আগেই আইরিশদের নিজেদের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সবমিলে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর ছিল বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু বিরুদ্ধে পরিবেশে কম প্রস্তুতি নিতে পারা, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারা মাথাচাড়া দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি এসব। স্বাগতিকদের মাঠ থেকে সিরিজ জিতেই দেশে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
দেশে ফিরে এই সিরিজে নিজেদের প্রাপ্তির কথা জানালেন টপ অর্ডার ব্যাটার শান্ত। বড় স্কোর তাড়া করে জেতা, আইরিশদের চ্যালেঞ্জের মুখ থেকে বেরিয়ে জয় তুলে নেওয়া, এমনকি দল হিসেবে খেলতে পারার স্বস্তি ফুটে উঠল শান্তর মুখে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে আয়ারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটারদের বহরে আসেননি চার ক্রিকেটার লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল এবং স্পিনার তাইজুল ইসলাম। লন্ডনে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাদের। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান বাদে স্কোয়াডের বাকি সদস্যরা দেশে ফিরেছেন।
ঢাকায় পা রেখে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন শান্ত। সিরিজ জয়ের স্বস্তি নিয়ে বলেছেন, ' 'আমরা যে ম্যাচ ৩২০ তাড়া করলাম, আমার মনে হয় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া যে ম্যাচটা আমরা ডিফেন্ড করলাম। দুটি ম্যাচই বিশ্বকাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।এ ধরনের পরিস্থিতি বিশ্বকাপে আসতেই পারে। বিশেষ করে বড় দলের বিপক্ষে। এই সিরিজে দুই ধরনের অনুভূতিই পেলাম—কীভাবে তাড়া করতে হয় বা ডিফেন্ড করতে হয়। এ জিনিস মাথায় রেখে সামনে ম্যাচ খেলতে পারলে দলের জন্য ভালো হবে।’
এই সিরিজেই প্রথমবার ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত। সামনে আরও ভালো করার প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেছেন, 'এই সিরিজে আমরা দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট খেলেছি বলে আমার মনে হয়। পুরো সময়টা সবাই দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল। এটা যদি ধরে রাখতে পারি, তাহলে সামনের দিকে আরও ভালো কিছু করতে পারব।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর আগামী জুনের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। এর আগে তেমন কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। পরিবারের সঙ্গেই এই সময়টা কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন তামিম-মুশফিকরা।