নারী আম্পায়ারদের নিয়ে আশার আলো
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে আসার পর থেকেই নারী আম্পায়ারদের নিয়ে কাজ করার তাড়না দেখিয়েছিলেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। সে তাড়নার প্রতিফলন কিছুটা হলেও দেখা গেল।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ম্যাচ পরিচালিত হলো নারী আম্পায়ারদের দ্বারা। বিসিবি একাডেমি মাঠে জ্যৈষ্ঠ আম্পায়ার সৈয়দ মাহবুবউল্লাহর সঙ্গে নান্নু-পাইলটদের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন সাথিরা জাকির জেসি ও ডলি রানি সরকার।
গতকাল শনিবার বিসিবির একাডেমি মাঠে লড়েছিলেন নান্নু-পাইলটরা। এই ম্যাচে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা ছাপিয়ে আলো কাড়েন সাথিরা জাকির জেসি ও ডলি রানি সরকার। দুজনের উপস্থিতিতে আশা দেখাল পুরুষদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের নারী আম্পায়ারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
ম্যাচ পরিচালনায় আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত জেসি ও ডলি রানি। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে সে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জেসি বলেন, ‘আমরা আসলে ২০০৯ সাল থেকে ট্রেনিং করে, পাস করে অপেক্ষা করছিলাম এ দিনটার জন্য। অবশেষে এলো এ দিনটি। আমরা এতদিন ধরে এটাই চেয়েছিলাম যে, একটা শুরু করার জন্য। মিঠু (বিসিবি পরিচালক) ভাইকে আমরা গত সপ্তাহ ধরে বলছিলাম। স্বাধীনতা দিবসের ম্যাচটা দিয়ে শুরু করার কথা ভাইয়াকে বললাম। কারণ, অন্য জায়গায় শুরু করলে কেউ জানতোই না। এখন সবাই জানবে নারীদের আম্পায়ারিংয়ের ব্যাপারে। মেয়েরা আরো আগে থেকেই আম্পায়ারিং শুরু করেছে। সেটা কেউ জানেই না। এবার একটা ভালো সুযোগ ছিল সবার সামনে আসার।’
জেসি জানালেন, গত পাঁচ-ছয় বছর আগে নারী প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কয়েক জন সাবেক নারী ক্রিকেটার। তবে, সেটির ধারাবাহিকতা পরে আর দেখা যায়নি। সামনে থেকে স্কুল ক্রিকেট থেকে নারী আম্পায়ারদের সুযোগ দিতে চায় বিসিবি।
বিষিয়টি ভালোভাবে দেখছেন জেসি, ‘নারী আম্পায়ারের দিক থেকে আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে আছে। পাকিস্তানের মতো দেশ নারী কোচ, নারী আম্পায়ার দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের এখনও সেভাবে কাজের প্রসার হয়নি। তবে আশা করি, সামনের দিকে হবে। শুরুটা যেহেতু হলো, এবার সামনের দিকে ধীরে ধীরে এগোবে আশা করি। মেয়েরা এখন সব স্তরে আম্পায়ারিং করছে, বিশ্বকাপেও করছে, ছেলেদের ক্রিকেটেও করছে। এখানে আসলে যত বেশি ম্যাচ করবে, তত অভিজ্ঞতা বাড়বে।’