শরিফুল-মেহেদীর তোপে অল্প রানে থেমে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
গত কয়েক বছর ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার পর প্রিয় ফরম্যাটে লড়াইয়ে লড়াইয়ে নেমে তামিম-মাহমুদউল্লাহরা ভালোই সাফল্য পেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে আটকে দিয়েছে।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এই ক্যারিবীয় ব্যাটার তখন রানের খাতা খুলতে পারেননি।
পরে দলীয় ৩২ রানের মাথায় স্পিনার মেহেদী হাসান সাজ ঘরে ফেরান আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্সকে। ২৭ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাই দলীয় পঞ্চাশ রান পার হতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। শামার ব্রুকস ব্যক্তিগত ৩৩ এবং ব্র্যান্ডন কিং ৮ রান করে এই বাংলাদেশি পেসারের শিকার হন।
পরে আরও দুই উইকেট তুলে নেন তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান। রোভম্যান পাওয়েল (৯) ও নিকোলাস পুরানের (১৮) উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধস নামান।
কিছুক্ষণ পর শরিফুল আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনংসকে অল্প রানে আটকে দিতে মূল অবদান রাখেন। রোমারিও শেফার্ড (১৫) ও গুদাকেশ মতিকে (৭) আউট করে ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন। আর শরিফুল পান চার উইকেট ৩৪ রান খরচায়। মুস্তাফিজ পান এক উইকেট।
এদিকে ম্যাচের প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি এনামুল হক। টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার কারণে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি আপাতত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪১ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ০, মেয়ার্স ১০, ব্রুকস ৩৩, কিং ৮, পুরান ১৮, পাওয়েল ৯, শেফার্ড ১৫, আকিল ৩, মোটি ৭, ফিলিপ ১৯*, সিলস ১৬*; নাসুম ৮-৩-১৬-০, মুস্তাফিজ ৮-০-৩৪-১, মিরাজ ৯-২-৩৬-৩, তাসকিন ৮-০-২৬-০, শরিফুল ৮-১-৩৪-৪)।