সাঁতারে প্রথম দিনেই তিনটি রেকর্ড
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদের পর সাঁতারের প্রথম দিনে রেকর্ড গড়লেন নৌবাহিনীর দুই সাঁতারু মাহমুদুন্নবী নাহিদ ও সোনিয়া খাতুন।
ছেলেদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইতে নাহিদ ৫৬.৭১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েন। ৫৬.৮২ সেকেন্ডের পুরনো রেকর্ড ছিল নৌবাহিনীর এই সাঁতারুর।
নারীদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইতে রেকর্ড গড়েন সোনিয়া খাতুন। তিনি সময় নিয়েছেন ১ মিনিট ৭.১২ সেকেন্ড। ২০১৯ সালে গড়া আগের রেকর্ড ছিল নৌবাহিনীর আরেক সাঁতারু সোনিয়া আক্তার টুম্পার, ১ মিনিট ৮.৯৫ সেকেন্ডর। রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জয়ের পথে নৌবাহিনী সতীর্থ সোনিয়া আক্তার টুম্পাকেই হারান সোনিয়া খাতুন।
নিজের পুরনো রেকর্ড ১ মিনিট ৮.৯৫ সেকেন্ডের চেয়ে ভালো টাইমিং করলেও রুপা পদকেই সান্তনা খুঁজতে হয়েছে সোনিয়া আক্তার টুম্পাকে। আজ শনিবার ১০০ মিটার বাটারফ্লাইতে এই সাঁতারুর টাইমিং ছিল ১ মিনিট ৮.৫১ সেকেন্ড।
এর আগে দিনের প্রথম রেকর্ড গড়েন সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদ। ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ২০১৯ সালে নিজের গড়া ২ মিনিট ১৬.১৩ সেকেন্ডের রেকর্ড ভাঙতে তাঁর সময় লেগেছে ২ মিনিট ১৬.১২ সেকেন্ড।
রেকর্ড গড়ার পর মাহমুদুন্নবী নাহিদ বলেন, ‘এই ইভেন্টে রেকর্ড হবে এমনটা প্রত্যাশা করিনি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না, এ কারণে আমার প্রস্তুতিও প্রত্যাশিত ছিল না। তারপরও রেকর্ড হয়েছে এ জন্য ভালো লাগছে।’
সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতির কারণে এবার প্রস্তুতির জন্য সময় কম ছিল। সময় সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছেন আমাদের কোচরা। স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে ভালো করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছে আমার সংস্থার কর্মকর্তারা।’
রেকর্ডের পর জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছে রেকর্ডের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল স্বর্ণপদক। শুরুটা ভালো হয়েছে। আশা করছি, বাকি ইভেন্টগুলোতে ভালো করব।’
কুষ্টিয়া থেকে উঠে আসা এই সাঁতারু আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত হচ্ছে এ গেমস। প্রথম ইভেন্টে রেকর্ড গড়তে পারাটা তৃপ্তির।’
রেকর্ড গড়ার পরও নিজের টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন জুয়েল আহমেদ, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রস্তুতিতে বিঘ্ন হয়েছে। তা না হলে টাইমিংটা আরও ভালো হতে পারত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে। এ জন্য আমি কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’