সুরের মূর্ছনায় শেরেবাংলা মাতালেন এ আর রহমান
অপেক্ষা বহুদিনের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই বছর আগে ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী এ আর রহমানকে উড়িয়ে আনার পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু, করোনা মহামারির প্রভাবে সে পরিকল্পনা লম্বা সময় ঝুলে থাকে। অবশেষে বাংলাদেশে এসেছেন এ আর রহমান। ভারতীয় তারকার সুরের মূর্ছনাতেই ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ শীর্ষক কনসার্টের আয়োজন সম্পন্ন করেছে বিসিবি।
মঙ্গলবার বৃষ্টিবিঘ্নিত সন্ধ্যার পর নিজের সুরের জাদুতে মিরপুর শেরেবাংলায় অবস্থানরত দর্শকদের বুঁদ করে রেখেছেন এ আর রহমান। ভিআইপি বক্সে থেকেই ভারতীয় তারকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী আয়োজনের শুরুটা ঠিকঠাকই ছিল। জাতীয় সংগীত ও মাইলসের পারফর্ম দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় মঙ্গলবার বিকেলে। কিন্তু, সন্ধ্যা নামতেই বৃষ্টি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে সব এলোমেলো হয়ে যায়। মাঠে ভিআইপি আসনে বসা দর্শকরা ভিজে একাকার হয়ে যান।
এরপরও অবশ্য আগ্রহ কমেনি কারও। বৃষ্টির বাগড়ার পর সবাই অপেক্ষায় ছিলেন এ আর রহমানের পারফরম্যান্সের জন্য। বৃষ্টি থামলে ‘মরার কোকিলা’, ‘বন্ধু তুই লোকাল বাস’ দিয়ে মঞ্চ মাতান সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই কন্যা রোহানী ও রোজ। তাঁরাও পারফর্ম করেছেন। এর মধ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উপস্থিত হওয়ার পর জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
এরপরই মঞ্চে ওঠেন এ আর রহমান। শুরুতেই ‘জয় হো’ দিয়ে চমক দেখান এ আর রহমান। এরপর গভীর রাত অবধি দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তিনি। তবে তাঁর অনেক গানের ভিড়ে আলাদা করে নজর কাড়ে ‘জয় বাংলা’ গানটি। এ আর রহমানের কণ্ঠে বাংলা গান শুনে করতালিতে ভাসান দর্শকরা। ভারতীয় তারকার কণ্ঠে ‘জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ’ গানটি শুনে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে মঞ্চের ভিডিও ধারণ করতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ ছাড়া ‘বলো জয় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে একটি হিন্দি গানেও কণ্ঠ দেন এ আর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ আর রহমান গান পরিবেশনার পর রাত সাড়ে ১১টার পর স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরেও প্রায় এক ঘণ্টা সুরের মূর্ছনায় দর্শকদের বেঁধে রাখেন এ ভারতীয় সুপারস্টার। তাঁর সঙ্গে আসা ২৪০ জনের বহরের পারফরম্যান্সও মুগ্ধ করেছে উপস্থিত থাকা ভক্তদের।