বিশ্বকাপে স্লেজিংয়ের শাস্তি নিষেধাজ্ঞা
এবারের বিশ্বকাপের আগে বেশ সোরগোল হয়েছে স্লেজিং নিয়ে। রোহিত শর্মার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে। গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে স্লেজিংয়ের কারণে জরিমানা করা হয়েছিল শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলিকে। বিশ্বকাপে যেন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য ক্রিকেটারদের আগেভাগেই সতর্ক করে দিয়েছে আইসিসি। স্লেজিংয়ের কারণে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় পড়তে হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
মাঠে যেসব খেলোয়াড়ের বাজে আচরণের রেকর্ড আগে থেকে আছে, তাঁরাই থাকবেন ঝুঁকির মুখে। আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই নিষিদ্ধ করা হবে। আর অন্যদের ক্ষেত্রে প্রথমে জরিমানা করে সতর্ক করে দেওয়া হবে।
একই রকম ভুল আবার করলে পড়তে হবে নিষেধাজ্ঞার মুখে। মঙ্গলবার মেলবোর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বলেন, ‘এই ইস্যুটা প্রতিটা দলের কাছেই পরিষ্কার করা হয়েছে। আমার মনে হয় কয়েক মাস আগে থেকেই এটা বলা শুরু হয়েছে যে কিছু ম্যাচে কিছু খেলোয়াড়ের আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। এটা তরুণ দর্শকদের সামনে বাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। গত কয়েক মাসে আচরণবিধি ভঙ্গের ১২-১৩টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।’
শাস্তির ধরন সম্পর্কে রিচার্ডসন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ভুল করলে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফির বেশির ভাগই কেটে নেওয়া হবে। কিন্তু বারবার একই ভুল করলে তাঁকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উইকেটরক্ষক জানিয়েছেন, শাস্তিটা আগের তুলনায় অনেক বেশি কঠোর হয়ে গেছে এমন কথা বলে পার পাওয়া যাবে না।
কোহলি-ওয়ার্নারদের তাই সতর্কই থাকতে হবে বিশ্বকাপে।