ভারতকে স্তব্ধ করে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের ফাইনাল হারের তিন মাসও পূর্ণ হয়নি। ফের আরেকটি ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। যদিও এবার মঞ্চটা ভিন্ন। কোহলি-রোহিতরা যেটা পারেননি, সেটার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল তাদের উত্তরসূরীদের। এবার যুব বিশ্বকাপেও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা ভারতকে স্তব্ধ করে চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া।
আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেনোনিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৩.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থামে ভারত। বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন বিয়ার্ডম্যান ও ম্যাকমিলান। ৭৯ রানের জয়ে যুব বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া।
যুব বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে সর্বাধিক ২৪২ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল। ভারতকে ষষ্ঠ ট্রফি জিততে এই রেকর্ড ভাঙতে হতো। যদিও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। দলীয় তিন রানের মাথায় আর্শিন কুলকারনির উইকেট হারায় ভারত। ছয় বল খেলেও তিন রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
এই ব্যাটারের বিদায়ের পর মুশির খানকে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেন আদর্শ সিং। যদিও এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৪০ রানের মাথায় মুশিরের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৩৩ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। মুশিরের বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন অধিনায়ক উদয় সাহারান। ১৮ বলে আট রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ভারত। দলীয় ৯১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ছয় ব্যাটার। পরবর্তীতে লেজের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে আদর্শ সিং।
এর আগে, আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অজিদের। দলীয় ১৬ রানের মাথায় লিম্বানির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কন্সটাস। আট বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তার বিদায়ের পর হিউজ ওয়েবজেনকে নিয়ে জুটি গড়েন ডিক্সন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৭৮ রান।
এরপর দলীয় ৯৪ রানের মাথায় ফেরেন ওয়েবজেন। ৬৬ বলে ৪৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এই ব্যাটারের বিদায়ে পর টিকতে পারেননি আরেক ব্যাটার হ্যারি ডিক্সন। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় তিওয়ারির বলে অভিষেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউটের আগে করেন ৫৬ বলে ৪২ রান।
ডিক্সনের বিদায়ের পর রায়ান হিকসকে নিয়ে জুটি গড়েন হারজাস সিং। এই জুটিতে ভালো সংগ্রহের ভিত পায় অজিরা। ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় ফেরেন হিকস। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ২০ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও লেজের সারির ব্যাটারদের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ২৫৩ রান তোলে অজিরা।