ইউটিউবের মাধ্যমে কোটিপতি!
ইউটিউবের বদৌলতে কোটি টাকা! অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য। সম্প্রতি সুইডিশ সংবাদপত্র এক্সপ্রেশন জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ফেলিক্স ক্যাজেলবার্গ নামের জনৈক ইউটিউব তারকা সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন ভিডিও শেয়ারিংয়ের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ফেলিক্সের ইউটিউবে পরিচিতি অবশ্য পিউ-ডি-পাই নামে, এরই মধ্যে এই তারকার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটির বেশি। জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ান ডিরেকশন বা টেইলর সুইফটের মতো তারকার থেকেও তাঁর ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এখন বেশি। বিশ্লেষকদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর ঠেকছে এ ঘটনা।
পিউ-ডি-পাই মূলত বিভিন্ন গেম সম্পর্কে নিজের মতামত ইউটিউবে শেয়ার করে থাকেন। এসব ভিডিওতে তাঁকে গেম খেলতে এবং একই সঙ্গে গেম সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়। তাঁর সাম্প্রতিক ভিডিওটি আপলোড করার মাত্র ১৮ ঘণ্টার ভেতরে প্রায় ১৫ লাখ বার দেখা হয়েছে।
অবশ্য তাঁর এই উত্থান আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। ২০১৩ সালেও তিনি প্রায় চার মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন বলে জানা যায়। অবশ্য ২৫ বছর বয়সী এই তারকা তাঁর বেশির ভাগ অর্থই নানা সেবামূলক খাতে দান করে দিয়েছেন বলে জানান।
ইউটিউবের নীতিমালা অনুসারে কোনো আপলোডারের অর্থের হিসাব প্রকাশ করার অনুমতি না থাকলেও সম্প্রতি বেশ কিছু তারকা আপলোডারের অর্থের হিসাব ফাঁস হয়ে গেছে। ফলে জন্ম নিয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনার।
অবশ্য অ্যান্ডার্স অ্যানালাইসিসের ইয়ান মড এ খবরে উল্লসিত হওয়ার মতো কিছু দেখেন না। তাঁর ভাষ্যমতে, ইউটিউব অর্থ উপার্জনের জন্য কোনো সহজ বিষয় নয়, পিউ-ডি-পাই-এর মতো কয়েকজন ব্যতিক্রমী মানুষ বিপুল টাকা আয় করলেও বেশির ভাগ আপলোডারের পক্ষেই ওই মাত্রার জনপ্রিয়তা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার।