আইফোন ১১ : কতটা নতুনত্ব আনতে পেরেছে অ্যাপল?
যুক্তরাষ্ট্রের কুপারটিনোর স্টিভ জব থিয়েটারে ১০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় লঞ্চ হলো অ্যাপলের আইফোন ১১-এর তিনটি ভার্সন। একই দিনে একাধিক অ্যাপল প্রোডাক্ট ও সার্ভিস লঞ্চ হয়েছে। এদিন আইফোন ১১, ১১ প্রো ও ১১ প্রো ম্যাক্স উন্মোচন করেছে অ্যাপল। এ ছাড়া লঞ্চ হয়েছে ১০.২ ইঞ্চির আইপ্যাড আর অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৫।
তবে অনেকেই বলছেন, কয়েক মাস ধরে আইফোন ১১ নিয়ে যেসব গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তার ব্যতিক্রম কিছু দেখাতে পারেনি অ্যাপল। নতুন আইফোনের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে যেমনটা জানা গিয়েছিল, আইফোন ১১তে ক্যামেরাকেই প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গত সংস্করণের ডিজাইনেই বের হয়েছে আইফোন ১১, আইফোন ১১ প্রো ও আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স। আর গত বছর বের হওয়া আইফোন ১০ এস ও আইফোন ১০ এস ম্যাক্সের উত্তরসূরি হিসেবে এবার এসেছে আইফোন ১১ প্রো ও আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট জিএসএম এরেনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর মধ্যে আইফোন ১১ প্রো ও আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সে তিনটি করে রিয়ার ক্যামেরা থাকছে। আর অন্য মডেলটিতে আছে দুটি রিয়ার ক্যামেরা। নতুন আইফোনে রয়েছে আগের চেয়েও শক্তিশালী ব্যাটারি লাইফসহ একাধিক ফিচার।
আইফোন ১১-এর যত ফিচার
এই ফোনে রয়েছে একটি ৬.১ ইঞ্চি লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে। এতে আছে একটি এ ১৩ বায়োনিক চিপ। অ্যাপলের দাবি, বিশ্বের দ্রুততম সিপিইউ আর দ্রুততম জিপিইউ রয়েছে এই ফোনে। ফোনটি চলবে আইওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে। আইফোন ১১তে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল (প্রাইমারি সেন্সর) ও ১২ মেগাপিক্সেল (১২০ ডিগ্রি ওয়াইড অ্যাঙ্গেল) ক্যামেরা। ফোনের পেছনের ক্যামেরার সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ ফ্রেম গতিতে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এ ছাড়া ছবি তোলার জন্য উচ্চ মানের পোট্রেট মোড, নাইট ভিশন মোডসহ একাধিক ফিচার রয়েছে এই ফোনে। সেলফি তোলার জন্য আইফোন ১১তে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এই সেলফি ক্যামেরায় রয়েছে স্লো-মোশন ভিডিও রেকর্ডিং ফিচার। মোট ছয়টি রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১১।
আইফোন ১১ প্রো ও আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সের ফিচার
দুটি ফোনই চলবে আইওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে। ফোনে থাকছে এ ১৩ বায়োনিক চিপ। আইফোন ১১ প্রো আর আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সের পেছনে থাকছে তিনটি করে ক্যামেরা। এর মধ্যে একটি ১২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা থাকছে। সেইসঙ্গে থাকছে একটি ১২ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল আর একটি ১২ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা। সেলফি তোলার জন্য সামনে থাকছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আইফোন ১০এসের তুলনায় আইফোন ১১ প্রো মডেলে চার ঘণ্টা বেশি ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যাবে। আর আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স আইফোন ১০এস ম্যাক্সের চেয়ে পাঁচ ঘণ্টা বেশি চলবে।
দাম কত?
আইফোন ১১-এর বেস ভেরিয়েন্টে থাকছে ৬৪ গিগাবাইট (জিবি) স্টোরেজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১১-এর দাম শুরু হচ্ছে ৬৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। এ ছাড়া ২৫৬ ও ৫১২ জিবি স্টোরেজে পাওয়া যাবে ফোনটি। অন্যদিকে আইফোন ১১ প্রোর দাম শুরু হচ্ছে ৯৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আইফোন ১১ প্রোর বেস ভেরিয়েন্টেও থাকছে ৬৪ জিবি স্টোরেজ। এ ছাড়া ২৫৬ ও ৫১২ জিবি স্টোরেজে মিলবে আইফোন প্রো। আর আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সের দাম শুরু হচ্ছে ১০৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। এই ভার্সনটিও শুরু হবে ৬৪ জিবি স্টোরেজ দিয়ে। এ ছাড়া ২৫৬ ও ৫১২ জিবি স্টোরেজে মিলবে আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সে।