ব্রাসেলস হামলার পর ফেসবুকে সেফটি চেক চালু
যে কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সন্ত্রাসী হামলার পর দুর্গত বা আক্রান্ত স্থানে নিরাপদে থাকা মানুষদের অবস্থান জানাতে ফেসবুকে দেওয়া হয় সেফটি চেক।
এর মাধ্যমে নিরাপদে থাকা ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধুদের জানাতে পারেন যে তিনি নিরাপদে রয়েছেন। কারণ অনেক সময় এসব হামলার পর ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়।
তাই ফেসবুকের মাধ্যমে দেশে এবং দেশের বাইরে থাকা সবাইকে নিরাপদে থাকার খবরটি দ্রুত জানানো যায়।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের একটি বিমানবন্দর ও রেলগাড়িতে মঙ্গলবার বিস্ফোরণে হতাহতের পর ফেসবুকে চালু করা হয়েছে সেফটি চেক অপশনটি।
ব্রাসেলস ও এর আশপাশের এলাকায় থাকা ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ থাকার কথা সবাইকে জানাতে পারবেন।
তবে হামলার পর বেশ কিছুক্ষণ সেফটি চেক অপশনটি বন্ধ ছিল। এ নিয়ে অনেকেই ফেসবুকের সমালোচনা করেছেন। কারণ হামলার পরপরই ব্রাসেলসের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছিল না। এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দি ইনডিপেনডেন্ট-এর অনলাইন সংস্করণ।
এ ক্ষেত্রে নিরাপদে থাকা মানুষরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকে সেফটি চেক চালু করে সবাইকে নিরাপদে থাকার কথা জানাতে চাইছিলেন। ব্রাসেলসে হামলার প্রায় দুই ঘণ্টা পর সেফটি চেক অপশনটি চালু করে ফেসবুক।
শুরুতে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের জন্য সেফটি চেক চালু করেছিল ফেসবুক। সে সময় শুধু ভূমিকম্প বা বন্যা এ ধরনের দুর্যোগের সময় সেফটি চেক দেওয়া যেত।
তবে পরবর্তী সময়ে বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী হামলায় নিরাপদে থাকা মানুষদের জন্যও সেফটি চেক অপশনটি চালু করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে প্যারিসে হামলার পর সেফটি চেক চালু করেছিল ফেসবুক। সেবারই প্রথম কোনো বোমা হামলার পর সেফটি চেক দেওয়া হয়।
এরপর নাইজেরিয়া ও তুরস্কে বোমা হামলার পরও সেফটি চেক অপশন চালু করেছিল ফেসবুক। এবার ব্রাসেলস হামলার পরও এই অপশনটি চালু করা হল।