উত্তর কোরিয়ায় বন্ধ হলো ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব
আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়ায় ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পরিচালিত বেশ কিছু ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে তারা বলছে, এসব ওয়েবসাইট চালু থাকলে উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় তথ্য অনলাইনে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল।
উত্তর কোরিয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির প্রধান মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘কোরিওলিংক’ এবং অন্যান্য ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেছে।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্বাধীনতা সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে এসেছে উত্তর কোরিয়ায়। দেশটির খুব কম সংখ্যক মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। আর যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদেরও সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়।
অবশ্য উত্তর কোরিয়ায় অবস্থানরত ভিনদেশিরা কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, যদিও তাঁদের অনলাইন কার্যক্রমের ওপরও নজরদারি রয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারের।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থানরত বিদেশিদের জন্য দেশের বাইরে যোগাযোগ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। ফলে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো তথ্য আর দেশের বাইরে প্রচার করা সম্ভব হবে না। আর উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ কী বলছে, সেটিও অজানা থাকবে দেশটির জনগণের কাছে।
যদিও উত্তর কোরিয়ার সরকার দাবি করছে, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ভয়েস অব আমেরিকা ও অন্যান্য দক্ষিণ কোরীয় সাইট ‘একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য’ তারা ব্লক করেছে।
কিন্তু আদৌ এই সাইটগুলো খুলে দেওয়া হবে কি না কিংবা দিলেও কবে, সে ব্যাপারে কিছুই বলেনি তারা।
তবে শুধু এসব নেটওয়ার্কিং সাইট নয়, সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়ে জুয়া খেলা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটগুলোও বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে এটি ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিক বার্তা। এমনিতে বেশ কয়েক মাস ধরেই উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব ব্যবহার করা যাচ্ছিল না।