পাঁচ কারণে স্মার্টফোনে পর্নো নয়
ইন্টারনেট মোবাইল ডাটার অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বেই স্মার্টফোনে পর্নো দেখার মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে গেছে। যদিও স্মার্টফোনে পর্নো দেখার ব্যাপারে আইনগত কোনো বাধা নেই, তবু মুঠোফোনে পর্নো দেখার আগে আপনাকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে ভাবতে হবে।
পাঁচটি কারণে আপনার স্মার্টফোনে পর্নো দেখা উচিত নয়। কারণগুলো জানিয়েছে জি বিজনেস।
র্যানসামওয়ার
অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে যারা পর্নো দেখেন তাদের প্রতারকরা সহজেই শনাক্ত করতে পারে। এই ধরনের প্রতারণাকে র্যানসামওয়ার বলা হয়। যখন কোনো ব্যক্তি একটি অপরিচিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, তখন একটি নতুন পপ আপ উইন্ডো পর্দায় দেখা দেয় এবং স্মার্টফোনটি লক হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তিকে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হয়। এরপর তিনি কম্পিউটারে প্রবেশ করতে একটি পাসওয়ার্ড পান। প্রতারকের দাবি অনুযায়ী, অর্থ পরিশোধ করার পরও তার ফোনটি আনলক হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
শিশুদের পর্নোগ্রাফি
শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখার মাধ্যমে আপনি বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। হ্যাকাররা খুব সহজেই আপনার স্মার্টফোনে এই ধরনের পর্নো সংরক্ষণ করে দিতে পারে। এই ধরনের ঘটনায় আপনাকে জেলে যেতেও হতে পারে এবং তখন আপনার স্মার্টফোনই আপনার বিরুদ্ধে বড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অনলাইন হ্যাকিং
অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো প্রতিদিন ট্রেকিং করছে, এর মাধ্যমে তারা জানতে পারে, কোন ধরনের বিজ্ঞাপন আপনাকে তারা পোস্ট করতে পারে। আমাদের বেশির ভাগের স্মার্টফোনে ব্যাংকিং সেবা, ই-মেইল আইডি সংযুক্ত করা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য খুব সহজেই সাইবার অপরাধীদের নাগালের মধ্যে চলে যেতে পারে। যাইহোক, প্রাইভেট ব্রাউজিংয়ের জন্য কুকিগুলো মুছে ফেলার মাধ্যমে অনলাইন হ্যাকিং থেকে আপনার স্মার্টফোনকে রক্ষা করতে পারেন। তবে এটিকে নিশ্চিতভাবে নিরাপদ পদক্ষেপ হিসেবে ধরা যায় না।
জোরপূর্বক বা অবাঞ্চিত সেবা প্রদান
প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু প্রদানকারীরা সব সময় চ্যাট, এসএমএম, প্রিমিয়াম এসএমএস, ডব্লিউএপি, লোকেশন প্রভৃতির মতো মুঠোফোনের সক্রিয় অবাঞ্ছিত সেবাগুলো মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের দেওয়ার সুযোগ খুঁজছে। আপনি যখন পর্নো সাইট খুলবেন তখন অনেক সময় আপনার অজান্তেই এই পরিষেবাগুলো কার্যকর হয়ে যেতে পারে। আপনার স্মার্টফোনে কোন কোন সেবা কার্যকর রয়েছে এ ব্যাপারে অবশ্যই আপনাকে খুব সতর্ক হতে হবে।
পর্নো টিকার
শুধু সেবা প্রদানকারীরাই নয়, যারা ব্রাউজার ট্রেকিং করছে তারা আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগই বাড়ায় না এর সঙ্গে আপনি প্রতারণারও শিকার হচ্ছেন। সুতরাং যখন আপনি অপনার স্মার্টফোনে পর্নো দেখবেন তখন পর্নো টিকার অথবা মুঠোফোন অ্যাপ্লিকেশনের নকল সংস্করণ আপনার স্মার্টফোনে ভেসে উঠতে পারে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি গ্যামিং অ্যাপ্লিকেশন, স্বাস্থ্য অ্যাপ্লিকেশন ও বিনোদন অ্যাপ্লিকেশনের মতো দেখতে কিছু একটা হতে পারে। আপনি প্রতারণার জালে আটকা পড়ে যেতে পারেন।