বায়োমেট্রিক নিয়ে মামলায় হারল ফেসবুক
ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় হেরে গেছে বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট ফেসবুক। চলতি বছরের শুরুতে ‘অন্যায়’ এবং ‘অনৈতিকভাবে’ ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে কয়েকজন ফেসবুকার।
বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে শতকোটি মানুষের তথ্য ফেসবুকের কাছে সংরক্ষিত আছে। গোপনীয়তাবিষয়ক আইনি পরামর্শদাতাদের মতে, এই বিপুল পরিমাণ মানুষের তথ্য ফেসবুকের কাছে থাকা একেবারেই নিরাপদ নয়। এ ছাড়া সামান্য অসাবধানতায় বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আদালতে অভিযোগকারীরা ফেসবুকের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এ ছাড়া ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এত ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে কী করবেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
আর এসব অভিযোগেই ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে ‘অন্যায়’ এবং ‘অনৈতিকভাবে’ ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণের অভিযোগটি আমলে আনা হয়েছে।
তবে প্রথম দিনেই ফেসবুক অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিতে আদালতে আবেদন জানায়। কিন্তু মার্কিন আদালতের বিচারক জেমস ডোনাটো মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় এটি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বিশ্বের অনেক বড় প্রতিষ্ঠানই গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংরক্ষণ করে। অ্যাপল এবং স্যামস্যাং এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী বা গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষেণ করে। এই বায়োমেট্রিক ডেটার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গ্রাহকের আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ।
তবে ফেসবুক আঙুলের ছাপ নয় বরং ব্যবহারকারীদের ছবি সংরক্ষণ করে, যা গ্রাহকদের গোপনীয়তা নীতির বিরুদ্ধে বলে মনে করছে গোপনীয়তাবিষয়ক আইনি পরামর্শদাতারা। তবে এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, কেবল ট্যাগের সুবিধার জন্যই ব্যবহারকারীদের ছবি সংরক্ষণ করছে ফেসবুক।