মৃত্যুর পর ডিজিটালে বেঁচে থাকা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ই-মেইলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ তথ্য ও ছবি আসে। কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর এই বিপুল পরিমাণ তথ্যের ক্ষেত্রে কী ঘটবে, কখনো ভেবে দেখা হয়েছে? আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকউন্টেরই কী হবে?
বিবিসি জানায়, হঠাৎ স্বামীর মৃত্যুতে এমন সমস্যায় পড়েছিলেন ব্রিটিশ নারী ক্যারোলিন টুইগ। মস্তিষ্কের ক্যানসারে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মারা যান তাঁর স্বামী ইয়ান টুইগ। তবে প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের সময় নষ্ট হওয়ার কথা বললেও অনলাইনে ইয়ানের বিপুল পরিমাণ তথ্য ছড়ানো ছিল।
ইন্টারনেটে ইয়ান টুইগের সব তথ্য নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাঁর স্ত্রী। এ ছাড়া ইয়ানের ফেসবুকে স্মরণ দেন ক্যারোলিন। এতে মানুষ ইয়ানের ফেসবুক প্রোফাইল দেখতে পেলেও তাঁর কোনো নোটিফিকেশন পাবে না। মৃত্যু হলেও এভাবে অনলাইনে বেঁচে থাকেন ইয়ান।
গত বছর থেকে কোনো ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের নমিনি রাখার ব্যবস্থা নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। কারো মৃত্যুর পর ওই নমিনি নির্দিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট চালাতে পারবেন। ওই অ্যাকাউন্টে আসা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টেও সাড়া দিতে পারবেন। তবে এই নমিনি মৃত ব্যক্তির বার্তা আদান-প্রদানের কোনো তথ্য জানতে পারবেন না। এর ফলে ওই ব্যক্তির কোনো গোপন বিষয় অনলাইনে গোপনই থাকবে।
তবে সব প্রতিষ্ঠানই ফেসবুকের মতো নয়। অপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের নীতি এ ক্ষেত্রে বেশ কঠোর। মৃত ব্যক্তির আইডি শুধু মুছে দেওয়াই সম্ভব এখানে।
মৃত ব্যক্তির অনলাইনে তথ্য দেওয়া সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ‘কিউআর মেমোরিস’। মৃত ব্যক্তির কবরে থাকা স্মৃতিফলকে নির্দিষ্ট ধাতব ফলকের ওপর ‘কিউ আর কোড’ লাগিয়ে দেয় তারা। স্মার্টফোনে ওই কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে চলে যায়, যেখানে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য ও ভিডিও থাকে। কিউ আর কোড লাগানো প্লেট ও ওয়েবসাইটের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ৯৫ ডলার করে নেয়।