মুভি ডাউনলোডে যেভাবে কাজ করে টরেন্ট
পৃথিবীর যে দেশেই ছবি মুক্তি পাক সেটা দেখতে এখন আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না বাংলাদেশের দর্শকদের। কারণ মুক্তির দিনেই অনলাইনে চলে আসে এর পাইরেটেড কপি। এরপর দিন গেলে আরো ভালো মানের ভিডিও চলে আসে।
আর চলচ্চিত্র, সিরিয়াল বা গান ডাউনলোডের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে টরেন্ট। পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্তের মানুষই টরেন্ট থেকে ফাইল ডাউনলোড করে থাকেন।
কিন্তু টরেন্ট কি বৈধ না অবৈধ সেটা ভেবে দেখেছেন কখনো? আর এত এত চলচ্চিত্র বা সিরিয়াল আপলোড করার পরও কীভাবে নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এটি? অন্যান্য সাইটের তুলনায় টরেন্ট সাইটগুলো থেকে ফাইল কীভাবে দ্রুত আপলোড বা ডাউনলোড হয়?
এখানেই আর সবার থেকে আলাদা টরেন্ট। আপনি যখন কোনো ছবি বা ফাইল ডাউনলোড করছেন টরেন্ট থেকে সেটা আপনি একটি ফাইল ডাউনলোড করলেও সেটা আসলে একটি ফাইল নয়। আদতে ব্যবহারকারীরা একটি ফাইল ডাউনলোড করছেন মনে হলেও পুরো প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। কারণ আপনি যে মুভি ফাইলটা ডাউনলোড করছেন সেটি একটি ফাইল নয় এবং এটি এক জায়গাতেও নেই। পুরো ফাইলটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট ছোট আকারে ছড়িয়ে আছে। ইউটরেন্ট বা বিটটরেন্টের মতো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ব্যবহারকারীরা ডাটা ডাউনলোড করেন।
ব্যবহারকারীরা যে ক্লায়েন্টের মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোড করেন, সেই ক্লায়েন্টই এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অংশগুলোকে একত্রিত করে এবং একটি ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করতে সহায়তা করে।
আর ঠিক এ কারণেই টরেন্ট থেকে যেকোনো ফাইল দ্রুত ডাউনলোড বা আপলোড করা যায়। কারণ এটি একটি সার্ভার থেকে নয় বরং অনেকগুলো সার্ভার থেকে ছোট ফাইল একত্রিত করে ডাউনলোড হয়।