স্মার্টফোনে গোপনে কথা শোনে ফেসবুক!
স্মার্টফোনে সবচেয়ে বেশি কোন অ্যাপটি ব্যবহৃত হয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তরটি হবে ফেসবুক। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধার্থেই অনেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে সম্প্রতি জানা গেল ফেসবুক অ্যাপের ভয়ংকর তথ্য। এই অ্যাপ গোপনে মানুষের কথা শোনে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম বিষয়ের শিক্ষক কেলি বার্নস ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোনে বলা মানুষের কথা শোনার বিষয়টি জানান। তিনি দাবি করেন, কয়েক বছর ধরেই ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে কথা শোনার বিষয়টি চলছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষও কথা শোনার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, মানুষের পছন্দের কথা জানতেই এবং মানুষের সুবিধার্থেই কাজটি চলছে। আর অ্যাপের এই কথা শোনার বিষয়টি সহজেই বন্ধ করে দেওয়া যায়।
গবেষক কেলি বার্নস বলেন, ফেসবুক অ্যাপের স্মার্টফোনে কথা শোনার বিষয়টি মোটেই মানুষের সহায়তার জন্য নয়। নিজেদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার স্বার্থেই মানুষের কথা শোনে ফেসবুক। এর মাধ্যমে মানুষের পছন্দ ও অপছন্দের কথা জানে তারা। পরে ওই অনুযায়ী নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফেসবুকে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন পাঠানো হয়।
গবেষণায় কেলি বার্নস দেখতে পেয়েছেন, স্মার্টফোনে তিনি যে পছন্দের কথা বলেছেন পরে ফেসবুকে তা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, স্মার্টফোনে কোনো ব্যক্তির কথা শোনা এবং তথ্য সংগ্রহ করা দুটি বিষয়ই চালায় তারা। তবে কখনোই বিষয় দুটি একসঙ্গে চলে না। অ্যাপে কোন বিজ্ঞাপন যাবে তা মানুষের কথার মধ্যে ঠিক হয় না। কোনো ব্যক্তির ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ থেকেই ঠিক করে দেওয়া সম্ভব। এ জন্য অডিও তথ্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর ফেসবুকের স্মার্টফোনের অডিও শোনার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরো দাবি করেছে, ২০১৪ সালে স্মার্টফোনে কথা শোনার বিষয়টি প্রথম শুরু হয়। আর সব সময়ই ফোনের কথা শোনা হয়। আর কখনোই ফোনে বলা কথা সংরক্ষণ করা হয় না।
ইনডিপেনডেন্ট জানায়, স্মার্টফোনের মাইক্রোফোনের সেটিংস পরিবর্তন করে অথবা এটি বন্ধ করে দিয়ে ফেসবুকের কথা শোনার বিষয়টি থামিয়ে দেওয়া যায়।