ব্যবহারকারীদের উপর নজর রাখে ফেসবুক?
ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে গোপনে কুকিস ইনস্টল করছে ফেসবুক, এমন গুরুতর অভিযোগ এসেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের অ্যাকাউন্টেও সফটওয়্যার ইনস্টলের মাধ্যমে নজর রাখে ফেসবুক।
অভিযোগ সত্যি হলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হতে পারে। কারণ ইউরোপীয় আইনে বলা আছে, ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে নজরদারি করতে হলে তাদের জানিয়ে এবং অনুমতি নিয়ে তা করতে হবে।
কিন্তু ফেসবুকের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যবহারকারীরা কিছুই জানেন না। ফলে অনেকক্ষেত্রেই তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ফেসবুক তাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের ‘কুকিস’ ইনস্টল করে থাকে। এই ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারের তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে সরবরাহ করে ফেসবুক। বিশেষ করে তারা কোন ধরনের ওয়েবসাইটে বেশি সময় কাটান বা কম্পিউটারে কী ধরনের কাজ বেশি করেন এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
এদিকে, ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুধু ফেসবুকে থাকলেই ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করে তারা। এর বাইরে অন্য কোনো ওয়েবসাইটের খবর তারা সংগ্রহ করে না।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র দ্য ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছেন, যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভুল তথ্যে ভরা। ফেসবুকে বেআইনিভাবে কখনো ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারকে এসব ব্যাপারে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখভাল করে থাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে আলাদা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। নজরদারির বিষয়ে এরই মধ্যে বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন দিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের একটি পেজ রয়েছে যেখানে তারা কী ধরনের কুকিস ব্যবহার করে এবং তার মাধ্যমে কীভাবে গ্রাহকদের তথ্য নেওয়া হয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। ব্যবহারকারীরা চাইলে সেখান থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু কুকিস ব্যবহার করা যায় যা ব্যবহারকারীরা স্বেচ্ছায় ইনস্টল করে নিতে পারেন।