আড়াই বছর জেল খাটতে হবে ‘স্প্যামের রাজা’কে
নাম তার স্যানফোর্ড ওয়ালেস। কুখ্যাত ‘স্প্যাম রাজা’। নানাভাবে স্প্যাম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই সাইবার জগতে তাঁর এই কুখ্যাতি। কয়েক বছর আগে ফেসবুকে ভয়ঙ্কর স্প্যাম ছড়িয়ে দিয়ে কুখ্যাত হন তিনি।
২০০৮ ও ২০০৯ সালে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্প্যাম ছড়িয়ে ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য তথ্য হ্যাক করেছিলেন ওয়ালেস। ওয়ালেসের তৈরি সেই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক পৌঁছে যেত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ইনবক্সে। সেখানে লেখা থাকত এই ওয়েবসাইটে গেলেই তারা অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যারাই ওয়েবাসাইটটিতে ঢুঁ মেরেছে তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ও ইমেইল অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন ওয়ালেস। তারপর সেই ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ব্যবহার করে তাদের বন্ধুদের প্রোফাইলেও স্প্যাম ছড়িয়ে হ্যাকিং করেন তিনি। সে সময়ে ফেসবুকের প্রায় পাঁচ লাখ ব্যবহারকারীর ইমেইল ও পাসওয়ার্ডের তথ্য চুরি করেছিলেন ওয়ালেস।
সেই সময় ফেসবুকের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিসে বেশ কয়েকবার ঢুঁ মেরেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ফেসবুকে দুই কোটি ৭০ লাখ স্প্যাম মেসেজ ছড়িয়েছেন ওয়ালেস। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনেগজেট।
অনলাইন জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৫ সালের আগস্টে আদালত তাকে অভিযুক্ত করে। এক বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলে ওয়ালেসের।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ওয়ালেসকে ৩৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তবে আদালত ওয়ালেসকে ৩০ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সাথে তিন লাখ ১০ হাজার ৬২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।
১৯৯১ সালে ফ্যাক্সে জাঙ্ক মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে স্প্যামিং ও হ্যাকিংয়ের জগতে প্রবেশ করেছিলেন ওয়ালেস। এরপর দিন যত গড়িয়েছে ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ত্রাসে পরিণত হয়েছেন তিনি।
ফেসবুক, মাইস্পেস, এওএলসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে মামলা করেছে ওয়ালেসের বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে মাইস্পেস ও ২০০৯ সালে ফেসবুক মামলা করে ওয়ালেসের বিরুদ্ধে।