পানিরোধক যন্ত্রে কেন শাওমির অনীহা?
স্মার্টফোন দুনিয়ায় পানিরোধক প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তবে মজার বিষয়, এ সময়কার জনপ্রিয় মোবাইল শাওমির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কোনো ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন?এমন জনপ্রিয় একটি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তো এই প্রযুক্তির সুবিধা আশা করতেই পারেন ব্যবহারকারীরা। এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে শাওমি।
চীনা এই টেক জায়ান্টের প্রতিষ্ঠাতা লেই জুন ব্যাখ্যা করেছেন পানিরোধক প্রযুক্তির অকার্যকরতার কথা। তাঁর কথা এমন যে, স্মার্টফোনে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হলে এই পানিরোধক নিরাপত্তা আদতে আর কাজ করবে না। এর মানে হলো, সামান্য ক্ষতি হলেই স্মার্টফোন পানিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সামান্য এই প্রযুক্তি যোগ করলে আবার সেটের দাম বেশ বেড়ে যায়।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকওয়েবে লেই জুনের এই বক্তব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জুন বিশ্বাস করেন যে পানিরোধক প্রযুক্তি বর্তমানে অন্যতম একটি জনপ্রিয় ফিচার। তিনি এও বলেন, ক্রেতাদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ টাকা বাড়তি খরচ করার আগ্রহ থাকলে ভবিষ্যতে হয়তো শাওমিও পানিরোধক স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসবে। তবে জুনের কথা থেকে এটি বেশ বোঝা যায়, বেশ লম্বা সময় পর্যন্তই শাওমির কোনো পরিকল্পনা নেই পানিরোধক কোন ডিভাইস বাজারে আনার।
পানিরোধক প্রযুক্তি খুব দরকারি হলেও গত বছর এই ডিভাইসগুলো প্রথম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। যখন সনি দাবি করে, ব্যবহারকারীরা যদি তাদের এক্সপেরিয়া হ্যান্ডসেট পানির নিচে ব্যবহার করে থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে স্মার্টফোন নষ্ট হলেও ওয়ারেন্টি কোন কাজে আসবে না। অথচ সনি এই পানিরোধক প্রযুক্তির অন্যতম অগ্রদূত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলো স্মার্টফোন শিল্পে। তবে সনির এই অবস্থান এটি মোটামুটি নিশ্চিত করতে পেরেছে যে, যত প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হোক না কেন, কোন স্মার্টফোনই একেবারে শতভাগ পানিরোধক হিসেবে তৈরি করা সম্ভব না।
বর্তমানে অবশ্য এখনো এই প্রযুক্তির আবেদন রয়ে গেছে ভোক্তামহলে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এবং এস৭ এজের মত ফ্ল্যাগশিপেও রয়েছে পানিরোধক প্রযুক্তি, যেটি আইপি৬৮ রেটিং প্রাপ্ত। অর্থাৎ ৫ ফিট পানির নিচে স্মার্টফোন দুটি রেখে দিলে সেগুলো ৩০ মিনিট পর্যন্ত অক্ষত থাকবে।